কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে জামিন পেতেই সেই কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করল অভিযুক্ত। এমনই ঘটনা ঘটেছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থানা এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমন ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল সেই আবহে এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবি জানালো তৃণমূল।
আরও পড়ুন: স্ত্রী'কে 'ধর্ষণ' করলেও সুরক্ষাকবচ পাবেন স্বামী? বৈধতা বিচার করবে সুপ্রিম কোর্ট
কী ঘটেছিল?
গাজিয়াবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীশ চন্দ্র জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে কৈলা দেবী থানা এলাকায় ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত রিংকু তার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে গাজিয়াবাদ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তারপর থেকেই সে জেলে ছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে সে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসে।
নিহতের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, মেয়েটি তার ভাই ও মায়ের সঙ্গে মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিংকু।পরিবারের অভিযোগ, রিংকু ছাড়াও আরও একজন এই ঘটনায় জড়িত। পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
এদিকে, এই ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগী ও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখা হয়, ‘সর্বনাশা যোগী রাজের অধীনে এখন এটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে! একজন ধর্ষণের আসামি জামিন পেয়ে নির্মমভাবে ১৭ বছর বয়সি নির্যাতিতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ধর্ষক এবং অপরাধীদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দেওয়া এবং তাদের ভয়ঙ্কর কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা এটাই কি বিজেপির নারী সুরক্ষার সংজ্ঞা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইবেন? তার পদত্যাগের দাবি করবেন?’ আর বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে নিশানা করে বলেন, ‘ট্রোল করায় ব্যস্ত থাকা অমিত মালব্য কি তাঁর নীরবতা ভাঙবেন?’