কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরে জঙ্গি হানায় মৃত্যু বাড়ল। সব মিলিয়ে শহিদ হলেন পাঁচ সেনা জওয়ান। একজন সেনা আধিকারিক গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। শুক্রবার সকালে জঙ্গি এনকাউন্টারে নেমে শহিদ হলেন পাঁচ সেনা জওয়ান। ডিফেন্সের মুখপাত্র লেফটেনান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ জানিয়েছেন, রাজৌরি সেক্টরে যে অপারেশন চলছে তাতে তিনজন সেনা গুরুতর জখম হয়েছিলেন। তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। অপারেশন এখনও চলছে।
তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার পাঁচ জওয়ান সব মিলিয়ে রাজৌরি সেক্টরের অপারেশনে শহিদ হয়েছেন। সূত্র মারফৎ হিন্দুস্তান টাইমস জেনেছে তাঁদের মধ্য়ে ৯ প্যারা এসএফের চারজন কমান্ডো ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ১জন সেনা শহিদ হয়েছেন। একজন কমান্ডোর নাম নীলম সিং। তিনি কাশ্মীরের আখনুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
মেজর পদমর্যাদার একজন আধিকারিক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সূত্রের খবর, একটি গুহার মুখে আইইডি রাখা হয়েছিল। সেটাই বিস্ফোরণ হয়। কমান্ডোদের পাশাপাশি সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, পুলিশ এই অপারেশনে অংশ নেন।
এদিকে ড্রোন ও কপ্টার দিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি চলছে জঙ্গিদের। সম্ভবত ৭-৯জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গলে।
আর্মির মুখপাত্র আগেই জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সেনা বুঝতে পারে গুহার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে জঙ্গিরা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে গুহাটি। সেনা এগিয়ে যেতেই জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর দুজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। চারজন আহত হয়েছিলেন। তার মধ্য়ে এক আধিকারিক ছিলেন।
এদিকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্য়েও সেনা গত ২০ এপ্রিল থেকে তাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১০জন সেনা শহিদ হয়েছেন। এদিকে এর আগে পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট গ্রুপ গত তারিখের জঙ্গি হানার দায় স্বীকার করেছিলেন। এদিনও তারা দায় স্বীকার করেছে। এনিয়ে তারা প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে। কিন্তু হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই বিবৃতির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
তবে ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজৌরি সেক্টরের কান্দি এলাকায় নির্দিষ্ট তথ্য়ের ভিত্তিতে সেনা অভিযানে নামে। একটি গুহার মধ্যে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল। সেই এলাকা ঘিরে ফেলে সুরক্ষা বাহিনী। গোটা এলাকাটি ঘন জঙ্গল ও পাহাড় দিয়ে ঘেরা। সেই দুর্গম এলাকায় জঙ্গি দমনে নেমেছে অসম সাহসী ভারতীয় সেনা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক