নবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপের মুখে ভারত। এই আবহে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এক টুইট বার্তায় রাহুল লেখেন, ‘ঘৃণা শুধু ঘৃণার জন্ম দেয়। শুধুমাত্র প্রেম ও ভ্রাতৃত্বের পথই ভারতকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার সময় এসেছে।’এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে কংগ্রেস শীঘ্রই কাশ্মীর থেকে কণ্যাকুমারী পর্যন্ত যাত্রা শুরু করবে। জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য এই কর্মসূচি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, এই ‘ভারত জোড়ো’ অভিযানের সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপটকে মিলিয়েই এই টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, গতকাল কাতারের তরফে ভারতীয় দূতকে তলব করার পরই রাহুল এই টুইট করেন।উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপূর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নুপূর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নুপূরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নুপূর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নুপূর।এদিকে ভারত সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার বার্তা দেয় কাতার ও কুয়েত। ভারতীয় দূতকে তলব করে এই ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে ইরান ও সৌদি আরবও। এই আবহে রবিবার কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা ভারত সরকারের অবস্থান নয়। সেই মন্তব্য ভারত সরকারের মতাদর্শ নয়। সমাজের কোনও একটি অংশের মনোভাব সেটা। যাঁরা সেই অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।