রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সংসদ ভবনে এক সাংসদকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপির প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গি। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী নিজেই। তিনি পালটা অভিযোগ করেন, তাঁকে এবং অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদদের বিজেপি সাংসদরা আটকাচ্ছিলেন। এই আবহে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে বিজেপি সাংসদরা ধাক্কা দেন বলে পালটা অভিযোগ রাহুলের। পাশাপাশি রাহুল আরও দাবি করেন, ধাক্কাধাক্কিতে তাঁরা দমবেন না। উল্লেখ্য, আম্বেদকরকে নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যের প্রতিবাদে আজও উত্তাল সংসদ। এই আবেহে সংসদের বাইরে এবং ভিতরে সরব হন বিরোধীরা। অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার। এহেন পরিস্থিতিতে সংসদের প্রবেশদ্বারে সাংসদদের ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ ওঠে। (আরও পড়ুন: মুম্বইতে ফেরিতে ধাক্কা নৌসেনার বোটের, দেখুন মর্মান্তিক সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: নিজেদের কাছে নেই, তাও ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি বাংলাদেশি প্রাক্তন সেনা কর্নেলের
আরও পড়ুন: ক্রমেই বাড়ছে 'মাথা ব্যথা', 'স্বীকার করলেন' বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা ইউনুস
সংসদের বাইরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'এই ঘটনাটি আপনাদের ক্যামেরাতেও থাকতে পারে। আমি সংসদের প্রবেশদ্বার দিয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তখন বিজেপি সাংসদরা আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয়। তাই এটা ঘটেছে... হ্যাঁ, এটা ঘটেছে (মল্লিকার্জুন খার্গকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে)। কিন্তু আমরা ধাক্কাধাক্কিতে ভয় পাই না। তবে এটি সংসদের প্রবেশদ্বার। আমাদের ভিতরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিজেপি সাংসদরা আমাদের ভিতরে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন... তারা সংবিধানকে আক্রমণ করছে এবং আম্বেদকরজির স্মৃতিকে অপমান করছেন।' এদিকে ঘটনায় আহত চন্দ্র প্রতাপের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। (আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজ, এবার কন্টেইনারে আছে...)
আরও পড়ুন: LAC-তে সেনার উপস্থিতি কমায়নি চিন, PLA নিয়ে বড় দাবি আমেরিকার
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির চন্দ্র প্রতাপ বলেন, 'রাহুল গান্ধী এসে এক সাংসদকে ঠেলে দিলেন। সেই সাংসদ তখন আমার ওপরে এসে পড়েন। এরপরে আমি পড়ে যাই। আমি তখন শিঁড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।' বিজেপি সাংসদের মাথায় চোট লেগেছে বলে দাবি করা হয়। তাঁকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে। একজন তাঁর মাথায় রুমাল চাপা দিয়ে রেখেছিলেন সেই সময়। (আরও পড়ুন: ভারতের অংশ দখল করার বর্তা দিয়েছিলেন ইউনুসের 'ডান হাত', কী বলল আমেরিকা?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা পরমাণু স্বপ্ন দেখে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে, সেই 'ঘুম' ভাঙায় আমেরিকা!
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যসভার মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, 'অভি এক ফ্যাশন হো গয়া হ্যায় - আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। ইতনা নাম আগর ভগবান কা লেট তো সাত জনম তাক স্বর্গ মিল জাতা'। অর্থাৎ - এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার আম্বেদকরের নাম নেওয়া। আর অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার সংসদ চত্বরের সামনে আম্বেদকরের ছবি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস সাংসদরা। তাঁরা দাবি করেন, এই 'ফ্যাশন মন্তব্যের' জন্য অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে। শাহের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবারও সরব হন বিরোধীরা।