প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পরপরই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। এই আবহে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি দাবি করেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর কোনও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়নি। উল্লেখ্য, দিল্লির রাজনৈতিক মহলে অনেক সময়ই গুঞ্জন শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী হতে হতেও অনেকবার হতে পারেননি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তবে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছিলেন প্রণববাবু। (আরও পড়ুন: মনমোহনের স্মৃতিসৌধের জমি বরাদ্দে 'বিতর্ক'! কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শাহ)
আরও পড়ুন: আজ বৃষ্টি হবে বাংলার ৬ জেলায়, এরপর ফের ঠান্ডা কবে বাড়বে কলকাতায়?
এদিকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরের ঘটনা তুলে ধরে শর্মিষ্ঠা নিজের পোস্টে লিখলেন, 'বাবা যখন মারা গেলেন, তখন শোক জ্ঞাপনের জন্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজনও মনে করেনি। আমাকে সেই সময় এক সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টদের জন্যে এমনটা করা হয় না। যদিও সেটা মিথ্যা। পরে আমি বাবার ডায়েরি থেকে জানতে পেরেছিলাম, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কেআর নারায়ণের প্রয়াণে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই সময় শোক বার্তা ড্রাফ্ট করেছিলেন বাবা নিজেই।' (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে কি বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে যাবে? সামনে এল বড় আপডেট)
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লিতে সদর দফতরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। সেই বৈঠকেই মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আলোচনা হয়। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ মনমোহনের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সদর দফতরে। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানেই শায়িত থাকবে তাঁর মরদেহ। তারপর সেখান শুরু হবে মনমোহন সিংয়ের শেষযাত্রা। উল্লেখ্য, দেশের ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ১০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্যে সব কিছু 'বাজি রেখেছিলেন' মনমোহন সিং। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক চুক্তির জন্যে তিনি সেই একই কাজ করেছিলেন। কারণ তিনি এটাকে কেবলমাত্র একটা চুক্তি হিসেবে দেখেননি, বরং পশ্চিমি বিশ্বের সঙ্গে ভারতের 'রিসেট বোতাম' হিসেবে দেখেছিলেন। সেই সময় বামেরা তাঁর সরকার থেকে সর্থন প্রত্যাহার করলেও মনমোহন অনড় থেকেছেন নিজের অবস্থানে।