পনেরো বছরের জন্য পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) করা যায়। নিয়ম অনুয়ায়ী, ১৫ বছরের পরও পিপিএফে অর্থ বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। বাড়ানো যেতে পারে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ। ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পিপিএফ অ্যাকাউন্টধারীদের কাছে দুটি সুযোগ থাকে।
PPF অ্যাকাউন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কী করা যাবে?
প্রথমত, আরও পাঁচ বছরের জন্য পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো যাবে। ফর্ম-৪ জমা দিয়ে প্রতি বছর টাকা জমা দিতে পারবেন পিপিএফ অ্যাকাউন্টধারীরা।
দ্বিতীয়ত, নতুন করে কোনও কিস্তির টাকা না দিয়ে ম্যাচিওরিটির পরও পিপিএফ অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা রাখা যাবে। সেই অর্থের জন্য সুদও মিলবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর যে সুদের হার পরিবর্তন করা হয়। তবে প্রতি অর্থবর্ষে সর্বাধিক একবার টাকা তুলতে পারবেন। কত টাকা তোলা যাবে, সেটার উপর কোনও সর্বোচ্চসীমা চাপানো হয়নি।
আরও পড়ুন: PPF interest calculation: ৫ এপ্রিলের মধ্যে PPF-এ টাকা দেননি? কত টাকা লোকসান হবে আপনার? দেখে নিন হিসাব
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে কোনও টাকা না দিয়ে যদি এক বছরের বেশি যদি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু রাখা হয়, তাহলে তিনি আর নতুন করে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে পারবেন না। অর্থাৎ পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কেউ যদি নতুন করে টাকা জমা দিতে চান, তাহলে তাঁকে এক বছরের মধ্যে অর্থ জমা দিতে হবে।
PPF অ্যাকাউন্টের ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কত হারে সুদ মিলবে?
পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ১৫ বছর হয়ে যাওয়ার পর যে দুটি বিকল্প মেলে, সেই দুটিতেই সুদের হার সমান থাকে। দুটি ক্ষেত্রেই যে সুদ পাবেন, সেটার জন্য কর দিতে হবে না। তাই অবিলম্বে যদি আপনার টাকা না লাগে, তাহলে কোনও টাকা জমা না দিয়েই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে পারেন। প্রতি অর্থবর্ষে আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণভাবে টাকা তুলতে পারবেন পিপিএফ অ্যাকাউন্টধারীরা। তবে প্রতি অর্থবর্ষে একবার টাকা তোলা যাবে।
আরও পড়ুন: PPF trick for maximum return: সুদ না বাড়লেও এক চালেই সর্বাধিক রিটার্ন মিলবে PPF-এ! করতে হবে যে কোনও একটি কাজ
('হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ মিন্ট'-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কর এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ বলবন্ত জৈন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে অনুলিখন করা হয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-য়।)