
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
অসমে দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার অসমের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’–এর প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘কেন্দ্র এবং অসমের ডবল ইঞ্জিন সরকার এই অঞ্চলের ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক ফাঁক–ফোকরগুলি কমানোর চেষ্টা করেছে।’
অসমের ধুবড়ি এবং মেঘালয়ের ফুলবাড়ির মধ্যে নতুন সেতুর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থেকে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সড়কপথে অসম থেকে মেঘালয়ের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। কিন্তু ভবিষ্যতে এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে এর দূরত্ব কমে ১৯–২০ কিলোমিটার হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির যান চলাচলের ক্ষেত্রেও এই সেতু ভবিষ্যতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে।’
এদিনের অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। তিনি বলেন, ‘ধুবড়ি–ফুলবাড়ি সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসম ও মেঘালয়ের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর থেকে অসমের ধুবড়ি পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণ কাজটি অক্টোবর মাস থেকে শুরু হবে। এর জেরে ভূটান ও বাংলাদেশ যেতে বর্তমানে যা সময় লাগে তার চেয়ে অনেকটাই কম সময় লাগবে ভবিষ্যতে। স্বাভাবিকভাবে এই দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর–পূর্ব অঞ্চলগুলির দূরত্ব কমবে সড়কপথে।’
ভারতের পূর্বাঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ব্রহ্মপুত্র ও বারাক নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই নতুন সেতু তৈরির এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই ধুবড়ি–ফুলবাড়ি সেতু মূলত ১২৭বি জাতীয় সড়ক জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শ্রীরামপুরে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে (পূর্ব–পশ্চিম করিডোর) এই সেতুপথ শুরু হয়ে তা মেঘালয়ের ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নংস্টয়নে শেষ হবে। এটি অসমের ধুবড়িকে মেঘালয়ের ফুলবাড়ি, তুরা, রঙরাম এবং রঙজেনগের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
অবশেষে প্রায় ১০ বছরের দাবি পূরণ হতে চলেছে অসম ও মেঘালয়বাসীদের। ৪৯৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ধুবড়ি–ফুলবাড়ি সেতু গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এতদিন নদীর এপার থেকে ওপার যাতায়াতের জন্য অসম ও মেঘালয়ের বাসিন্দাদের ফেরি পরিষেবার ওপর নির্ভর করে থাকতে হত। সেতু তৈরি হলে এই ২০৫ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ১৯ কিলোমিটারে। যা এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য।
পাশাপাশি এদিন মহাবাহু–ব্রহ্মপুত্র প্রকল্পের অন্তর্গত মজুলি সেতুর নির্মাণকাজও শুরু হয়। এই সেতুর সূচনা করে এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘অসমের প্রথম হেলিপ্যাডটিও তৈরি হয়েছে মজুলিতে। এখন মজুলির বাসিন্দারা সড়কপথের থেকে দ্রুত এবং নিরাপদ বিকল্প পেতে চলেছেন। আপনাদের বহু বছরের পুরনো দাবি আজ সেতুর ভূমি পুজো দিয়ে পূরণ হতে চলেছে। কালীবাড়ি ঘাটের সঙ্গে জোড়হাটকে সংযোগকারী এই ৮ কিলোমিটার লম্বা সেতুটি মজুলির বাসিন্দাদের লাইফ লাইনে পরিণত হবে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports