পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, সব অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান করতে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার দুই মাস পর মঙ্গলবার সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।
কথোপকথনের সময় শরিফ বলেছিলেন যে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েও আলোচনা করতে চায়। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর, জল, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদসহ সব অমীমাংসিত ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পাকিস্তান। ভারত অবশ্য বরাবরই বলে আসছে, পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই আলোচনা হতে পারে। সন্ত্রাসী হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এই মন্তব্য করা হয়েছিল, ১৯৬০ সালের পুরানো সিন্ধু জল চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করে এবং ইসলামাবাদের সাথে সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। পরে চার দিনের সংঘর্ষে ভারতের অসামরিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলো পঙ্গু করে দেয় ভারত।
রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক অচলাবস্থার সময় পাকিস্তানকে সৌদি আরবের অবিচল সমর্থনের জন্য শরিফ গভীর কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন। এর আগে গত মাসেও নওয়াজ শরিফ ইরান ও আজারবাইজানে গিয়ে কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জল ও বাণিজ্যসহ সব অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানে ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যতক্ষণ না পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে সীমান্ত সন্ত্রাসের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত থাকবে, ঠিক যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন: 'সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসাথে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসাথে চলতে পারে না, এবং জল এবং রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না'। পিটিআই সূত্রে খবর