কানপুরের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী বিকাশ কুমারের গ্রেফতারির পর থেকে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। সদ্য উত্তর প্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা গ্রেফতার করেছে বিকাশকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের আইএসআই হ্যান্ডেলারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, ৩৮ বছর বয়সী বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বহু গোপন তথ্য পাচার করেছেন।
বিকাশের গ্রেফতারি..চাঞ্চল্যকর তথ্য:-
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই হ্যান্ডেলারের সঙ্গে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগে ছিলেন। আর সেই ঘটনা থেকেই উঠে আসছে জনৈকি নেহা শর্মার নামে খোলা এক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য। জানা গিয়েছে, কানপুরের ওই অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ১০ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন বিকাশ। সেখানে জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে বিকাশ কুমারের তথ্য উত্তর প্রদেশের এটিএসের হাতে এল? জানা যাচ্ছে, ফেসবুকে নেহা শর্মা নাম নিয়ে খোলা এক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তার অনুসন্ধান করতে গিয়েই পুলিশের হাতে আসে বিকাশের তথ্য। প্রসঙ্গত, এর আগে, হানিট্র্যাপের কবলে পড়ে ফিরোজাবাদ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির ৪৫ বছর বয়সী কর্মী রবীন্দ্র কুমার। তাঁর বিরুদ্ধেও তথ্য পাচারের অভিযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গেও ওই নেহা শর্মা নামের ভুয়ো প্রোফাইলের যোগ ছিল। রবীন্দ্র গ্রেফতার হতেই ফিরোজাবাদের পর এবার কানপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে গ্রেফতার হলেন বিকাশ। এর আগে, ১৩ মার্চ লখনউতে উত্তর প্রদেশ এটিএস-র হেডকোয়ার্টারে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয় রবীন্দ্র কুমারকে। তারপরই গ্রেফতারি।
( Shambhu Khanauri blockades: পার হয়েছে ১৩ মাস.. শম্ভু, খনৌরি সীমান্ত থেকে অবরোধ তুলল পঞ্জাব পুলিশ,আটক বহু কৃষক নেতা)
কী কী তথ্য পাঠান বিকাশ?
পুলিশ বলছে, রবীন্দ্রর মতো বিকাশও নেহা শর্মার প্রোফাইলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। জানা যাচ্ছে, লুডো অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএই-র সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বিকাশের। জানা গিয়েছে, বিকাশ, ওই আইএসআই হ্যান্ডেলারকে কর্মীদের উপস্থিতির ‘অ্যাটেনডেন্স শিট’, প্রোডাকশন চার্ট সম্পর্কিত তথ্য পাঠান। পাঠানো হয় কারখানার ভিতরের অংশের ছবিও। প্রেস নোটে জানানো হয়েছে,' রবীন্দ্র কুমারের মতোই, বিকাশ কুমার স্পষ্টতই নেহা শর্মা নামে এক মহিলার ভুয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা কর্তৃক বিছানো মধুর ফাঁদে পা দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন।' প্রেস নোটে জানানো হয়েছে, বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে হাতানো হয়েছে। কখনও ব্ল্যাকমেল, কখনও লোভ দেখিয়ে তা করানো হয়েছে।