- অভিষেক বসুমল্লিক
সহপ্রতিষ্ঠাতা, শ্রীরাম ম্যানেজারস পিএমএস ও প্রতিষ্ঠাতা ইনটেলসেনস ডট ইন
দেশের যেকোনও অস্থির পরিস্থিতিই অর্থনীতির উপর কোনও না কোনওভাবে প্রভাব ফেলে। ভারত পাকিস্তানের টানাপোড়েনের জেরেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আগামী কিছুদিনের মধ্যে। গত নভেম্বরের গোড়া থেকে শেয়ার বাজারে পতন দেখা যাচ্ছিল। এপ্রিল থেকে পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। গত দু-তিন মাসে প্রায় ৭০০০ পয়েন্ট উঠেছে সেনসেক্স সূচক। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের শেষ যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৭১ সালে। তার পর গত ৫০ বছরে আর তেমন বড়রকম অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ১৯৭১-এর পর যেগুলো হয়েছে, সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সীমিতরকমের অশান্তি। ফলে এবারও শেয়ার বাজার নির্ভর করছে, কী হবে, কতটা হবে ও কতদিন ধরে হবে, তার উপর।
- অশান্তি কতটা বড় আকারে?
দুটো দেশের মধ্যে অশান্ত পরিস্থিতি হলে নানারকম ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে একটি বড় ক্ষতি হল অর্থনৈতিক ক্ষতি। আর অর্থনীতির উপর ক্ষপ্রভাব পড়লে বিভিন্ন সেক্টরগুলিতেও তাঁর আঁচ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে এখন থেকেই কতটা আঁচ পড়তে চলেছে তা বলা কঠিন। পুরোটাই নির্ভর করছে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। সীমান্ত এলাকায় শুধু অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে এই মুহূর্তে শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি ততটা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু অশান্তির আকার যদি আরও ব্যাপক মাত্রায় হয়, তবে বাজারের সূচক পতনের ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
- বিনিয়োগের সঠিক সময়?
এই মুহূর্তে যাঁরা শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করছেন, তাদের সম্পদে এই ধরনের অশান্ত পরিস্থিতি ততটা প্রভাব ফেলবে না। দীর্ঘমেয়াদী বলতে এখানে ৫ বা ১০ বছরের বিনিয়োগকে বোঝানো হচ্ছে। মূলত এই ধরনের পরিস্থিতিতে বাজারে কিছু দিন মন্দা থাকলেও পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ যারা করছেন, তাদের এই মুহূর্তে সতর্ক থাকা জরুরি। একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, এই ধরনের অশান্ত পরিস্থিতিতেও কিছু সেক্টর বাজারে ভালো অবস্থানে থাকে। তাদের সূচকের পতন হয় না সহজে। সেই সেক্টরগুলিতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগও লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব
(অনুলিখন - সংকেত ধর)