মাওবাদীদের বিরুদ্ধে তিন রাজ্যের প্রান্তরে পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে চলছে দেশের সবথেকে বড় অভিযান। ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার যৌথ বাহিনী। যার মধ্যে ১০ হাজার আধাসেনা এবং প্রায় ১৪ হাজারের বেশি সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। সেই অভিযান চলাকালীন গুরুতর আহত হয়েছেন এক সিআরপিএফ অফিসার-সহ ৬ নিরাপত্তারক্ষী।ছত্তিশগড়, তেলাঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের বর্ডারে রয়েছে কারেগুট্টা পাহাড়। সেখানেই রয়েছে নকশাল ঘাঁটি। এবার তাদেরকে নির্মূল করতেই অভিযানে নেমেছে যৌথ বাহিনী। (আরও পড়ুন: একাধিক ফ্ল্যাট-জমির মালিক, পরবর্তী CJI -র সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?)
আরও পড়ুন-ট্রাম্প-হার্ভার্ড সংঘাত আরও তীব্রতর! বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান বাতিল, প্রতিবাদও
সিআরপিএফ-র তরফে জানানো হয়েছে, ৪ মে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্ত এলাকায় নকশাল-বিরোধী অভিযানের সময় সহকারী কমান্ড্যান্ট সাগর বোরাডে আহত হন।পাশাপাশি নকশাল আধিপত্যের শেষ শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকা থেকে মোট ১১২টি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে।যৌথ বাহিনীর অনুমান, বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাওবাদী নেতা ওই এলাকায় আটকা পড়েছেন।আবার অনেকে তেলাঙ্গানার দিকে পালিয়ে গিয়েছেন। একজন সিআরপিএফ আধিকারিক বলেন,'ছত্তিশগড়-তেলাঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টা পাহাড়ে নকশাল-বিরোধী অভিযানের সময়, সিআরপিএফের সহকারী কমান্ড্যান্ট সাগর বোরাডে গুরুতর আহত হন। সিআরপিএফের ২০৪ কোবরা ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে একজন জওয়ান আইইডি বিস্ফোরণে আহত হন। দলের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমান্ড্যান্ট বোরাডে নিজের কথা চিন্তা না করে আহত জওয়ানকে সরিয়ে নিয়ে যান।' তিনি আরও বলেন, কারেগুট্টা পাহাড় বেশ কয়েকজন মোস্ট-ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতার আস্তানা। এই অঞ্চলটি ঘন জঙ্গলে ঘেরা এবং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে শুকিয়ে দিতে বন্ধ বাঁধ, নদীর অবস্থা এখন কেমন? দেখুন চেনাবের ছবি)
জানা গেছে, ওই সিআরপিএফ অফিসার অভিযানের সময় আইইডিতে পা রাখেন, যার ফলে তার বাম পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে দ্রুত রায়পুরে স্থানান্তরিত করা হয় এবং পরে বিমানে করে দিল্লির এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে তার পা কেটে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা।বর্তমানে সাগর বোরাডের অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর সাহস, নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠা ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এক জীবন্ত উদাহরণ।
আরও পড়ুন-ট্রাম্প-হার্ভার্ড সংঘাত আরও তীব্রতর! বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান বাতিল, প্রতিবাদও
এই অভিযানের লক্ষ্য হল দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি, তেলাঙ্গানা স্টেট কমিটি, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি ব্যাটালিয়ন নম্বর ওয়ান এবং অন্যান্য মাওবাদী গোষ্ঠীগুলির প্রভাব দূর করা, যারা এই অঞ্চলকে চরমপন্থী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।এই যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযানকে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে সিআরপিএফের ডিজি জিপি সিং এই মুহূর্তে ছত্তিশগড়ে রয়েছেন। এবং কাছ থেকে অভিযান তদারকি করছেন। প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ, ২০২৬ এর মধ্যে মাওবাদী মুক্ত ভারত গড়ার দাবি বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।