নয়ডার সেক্টর ৮২ এর সচিন ত্যাগী পেশায় এক কলেজের ক্লার্ক। ৪২ বছরের সচিন কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তাঁর সেকেন্ডহ্যান্ড এসইউভি ৫০০ গাড়িটি বিক্রির জন্য। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই এসেছিল ক্রেতা। আর গাড়ি টেস্ট ড্রাইভের নাম করে নিয়ে ওই ক্রেতা উধাও হতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন সচিন ত্যাগী।
সচিন ত্যাগী জানাচ্ছেন, গত ২৫ জানুয়ারি ওই এসইউভি কেনার জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন ওই ক্রেতা। 'উনি আমাকে ফোন করে গাড়ি কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উনি টেস্ট ড্রাইভের জন্য জিজ্ঞাসা করছিলেন। আমি সম্মত হই, আর ওঁকে ভাঙ্গেলে ডাকি', বলছেন সচিন। উল্লেখ্য, ভাঙ্গেলের একটি কলেজেই ক্লার্ক হিসাবে কর্মরত সচিন। এরপর, টেস্ট ড্রাইভে এসে ওই ব্যক্তি নিজে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেন, আর পাশের সিটে বসিয়ে রাখেন বিক্রেতা সচিন ত্যাগীকে। এরপর, ওই ব্যক্তি লং ড্রাইভে যেতে চাইছিলেন বলে দাবি অভিযোগকারী সচিনের। এরপর , সচিন সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৫ কিলোমিটার টেস্ট ড্রাইভের পর ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি গাড়ি কিনতে রাজি। দাম রফা হয় ৬ লাখ টাকায়। সচিন বলছেন, 'এরপর নয়ডার সেক্টর ১০ এর কাছে এসে উনি গাড়ি থামান। আমাকে বলেন গাড়ি থেকে নামতে যাতে উনি আমাকে অ্যাডভান্সের ১০ হাজার টাকা দিতে পারেন। আমি ওঁকে বিশ্বাস করে গাড়ি থেকে নামি। উনি গাড়ির অ্যাকসেলেরেটার প্রেস করেন আর পালিয়ে যান গাড়ি নিয়ে।'
চোখের নিমেষে এই ঘটনার পরই ওই ব্যক্তিকে ফোন করার চেষ্টা করেন গাড়ি বিক্রেতা সচিন। তবে ফোনে ব্যক্তিকে না পেতেই সচিন বুঝে যান পরিস্থিতি হাতের বাইরে। এরপরই ১১২ নম্বরে ফোন করেন সচিন ত্যাগী। এদিকে খবর পেয়েই তৎপরতা নেয় পুলিশ। সেক্টর ১১০ এর চেকপোস্টের সাব ইনস্টপেক্টর সরিতা মালিক বলছেন, তাঁরা অভিযোগ পেয়েই ওই এসইউভিকে তাড়া করেন। ধাওয়া করে শেষমেশ গ্রেফতার করা যায় ওই অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম নীতেশ ভারদ্বাজ। পুলিশি জেরার মুখে সে জানিয়েছে বেকারত্ব আর অর্থাভাবের জেরে সে এই অপরাধের পথ বেছে নেয়। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২০ ও ৪০৬ লাগু রয়েছে।