অভিশপ্ত রুটে ‘কবচ’ প্রযুক্তি থাকলে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত? তা নিয়ে রবিবার মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দাবি করলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি যে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল, সেটার সঙ্গে ‘কবচ’ প্রযুক্তির কোনও যোগ নেই। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, শনিবার ‘কবচ’ প্রযুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সেটার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।
শনিবার সকালে বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা দাবি করেন যে 'কবচ' প্রযুক্তি থাকলে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। যে দুর্ঘটনায় সরকারিভাবে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১,১০০ জনের বেশি। যদিও রবিবার রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার সঙ্গে কবচের (যে প্রযুক্তি থাকলে দুটি ট্রেনের ধাক্কা হবে না, একই লাইনে দুটি ট্রেন নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে চলে এলে প্রযুক্তিই ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দেবে) কোনও সম্পর্ক নেই। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কারণ বলেছেন, সেটা মোটেও আসল বিষয় নয়। উনি যেমন বুঝেছেন, সেরকম বলেছেন।’
তারইমধ্যে কী কারণে বালাসোরে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, ইলেট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের (যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনও রুট সুরক্ষিত বলে না নিশ্চিত হলে কোনও ট্রেনকে সিগন্যাল দেওয়া হবে না) পরিবর্তনের কারণে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলমন্ত্রীর কথায়, ‘এটা একটি আলাদা বিষয়। পয়েন্ট মেশিন এবং ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সংক্রান্ত বিষয়। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের সময় যে পরিবর্তন হয়েছিল, সেটার কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। কে সেই কাজটা করেছে এবং কীভাবে সেই কাজটা হয়েছে, সেটা উপযুক্ত তদন্তের পরে খুঁজে বের করা হবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে মেন লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি ছিল)। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। ওই মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। ছিটকে পড়ে অন্য লাইনে। সেইসময় উলটো দিকের লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক