ডেমোগ্রাফি বা জনসংখ্যা, ডেমোক্র্যাসি বা গণতন্ত্র, ডাইভারসিটি বা বৈচিত্র্য - এই তিন 'D'-এর মন্ত্রেই নাকি দেশ এগিয়ে যাবে। আজ লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মোদী বলেন, 'মা ভারতী আবার জেগে উঠেছেন। বিগত ৯-১০ বছরে আমি অনুভব করেছি। গোটা বিশ্ব ভারতের ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। ভারতের জ্যোতি দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের কাছে জনসংখ্যা, বৈচিত্র্য, গণতন্ত্র আছে। এই ত্রিবেণী ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
আজ কোনও নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, দেশ বিগত ১০০০ বছর ধরে গোলামি করে এসেছে। তবে বর্তমান প্রজন্ম ভারতকে আগামী ১০০০ বছরের জন্য এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। মোদীর কথায়, 'কোটি কোটি হাত যদি কোটি কোটি স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ শুরু করে, তাহলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছব। আমরা ১ হাজার বছর গোলামি সহ্য করেছি। তবে আগামী এক হাজার বছরের জন্য ভারতকে সমৃদ্ধ করতে হবে। হারানো সেই সমৃদ্ধিকে ফিরে পেতে হবে। আমরা যাই করব, তা আগামী এক হাজার বছরের জন্য দেশের ভাগ্য লিখবে।' মোদী বলেন, 'বিশ্বের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ভারত তৃতীয় স্থানে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। ভারত সেই ক্ষেত্রে অগ্রগতি করবে। কয়েকদিন আগে আমি জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালি গিয়েছিলাম। সেখানে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, কীভাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সফল হল। আমি তাদের বলেছি, দেশের ছোট ছোট শহরের যুব সমাজও এগিয়ে এসেছেন। তাই আশা আর আকাঙ্খা এবং প্রচেষ্টার দৌলতে তারা এগিয়ে গিয়েছে।'
এরপর মোদী আরও দাবি করেন, দেশের যুব সমাজের সুযোগের কোনও অভাব থাকবে না ভারতে। মোদী বলেন, 'দেশের স্কুলের পড়ুয়ারা স্যাটেলাইট তৈরি করে লঞ্চ করার প্রস্তুতি করছি। আমি দেশের যুব সমাজকে বলতে চাই, এই দেশ আপনাদের আকাশের থেকেও উঁচু সুযোগ দেবে। সুযোগের কোনও অভাব ভারতে হবে না।' মোদী দাবি করেন, 'করোনার পর বিশ্বে নয়া গ্লোবাল অর্ডার তৈরি হয়েছে। ভারত গ্লোবাল সাউথের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বল এখন আমাদের কোর্টে। এখন এই সুযোগ আমাদের ছাড়লে হবে না।'