ট্রাম্প বিরোধিতার নীতি এখন অতীত। বাংলাদেশের মসনদে বসে এখন ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তি করতে ইচ্ছুক ইউনুস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ইউনুসের কথায়, 'ট্রাম্প বাংলাদেশকে বিনিয়োগের ভালো সুযোগ পেতে পারেন এবং বাংলদেশকে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখতে পারেন।' এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। সেই সময় নাকি মাস্কের মাধ্যমে ট্রাম্পের কাছে বার্তা পাঠাতে চান ইউনুস। (আরও পড়ুন: সময়টা ভালো যাচ্ছে না ইলন মাস্কের, একদিনে টেসলার শেয়ার দর পড়ল ১৫ শতাংশ)
আরও পড়ুন: চরম অপমান পাকিস্তানকে, রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দিয়েও ঢুকতে দেওয়া হল না মার্কিন মুলুকে
ব্রিটিশ সংবাদপত্রকে ইউনুস বলেন, 'ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, তাই আমি তাঁকে বলছি, আসুন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি করুন। যদি তিনি এমনটি না করেন, বাংলাদেশ কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণই হবে। তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।' এদিকে বাংলাদেশে ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই আবহে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ঢাকায় আসতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে মার্কিন রাজনীতিতে এখন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে আছেন মাস্ক। সরাসরি সরকারের অংশ না হয়েও যেন সরকারের অনেক বিষয় চালাচ্ছেন মাস্ক। এই আবহে মাস্কের মাধ্যমে ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে চাইছেন ইউনুস। (আরও পড়ুন: বৈধ ভোটার কার্ড বানিয়ে অবৈধভাবে ভারতে থাকছিলেন, দিল্লিতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি)
আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে সত্যি দাবি করেননি ট্রাম্প, সংসদীয় প্যানেলে জানাল মোদী সরকার
প্রসঙ্গত, বিগত বহু বছর ধরেই মহম্মদ ইউনুস 'ট্রাম্প বিরোধী' হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে তিনি অস্বস্তিতে আছেন বলে মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মদম্মদ ইউনুসের সঙ্গে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। এর আগে ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার পরে প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে ইউনুস বলেছিলেন, 'ট্রাম্পের এই জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।' আর পরে যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিল, তখন নাকি ইউনুসের নাম না নিয়েই ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।' (আরও পড়ুন: 'ভারতে আরও লোককে স্বাগত, তবে...', অনুপ্রবেশ রুখতে নয়া বিল পেশ সংসদে)