বাংলাদেশে পালাবদলের আবহে সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল বিজেপি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ করা হয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে এবার বিদায় বেলায় দিল্লিতে এলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। ভারতে এসে আজ তিনি এস জয়শংকরের সঙ্গে দেখা করেন। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয় দু'জনের। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি আদানপ্রদান এবং সমুদ্রপথে নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয় দু'জনের। এরপর ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করার কথা জেক সালিভানের। (আরও পড়ুন: ক্রমেই বাড়ছে রোহিঙ্গা নিয়ে মাথাব্যথা, সাগরপথে নৌকায় পালিয়ে এসেও ধরা পড়ল ৩৬)
আরও পড়ুন: ভারতেও এসে গেল HMPV, কী ভাবছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর?
এদিকে সালিভানের সঙ্গে বৈঠকের পরে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন জয়শংকর। সেখানে তিনি লেখেন, 'দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়। গত চার বছরে আমাদের খোলামেলা আলোচনার মর্ম আমি বুঝি।' এদিকে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক উন্নতি রক্ষেত্রে সালিভানের ব্যক্তিগত অবদানকে বিশেষ ভাবে কুর্নিশ জানান জশংকর। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ শুনানির আগেই 'কষ্টের আপডেট' দেন মামলাকারী...)
আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই মালামাল বাংলাদেশ, তুলনায় ভারত কোথায় জানেন? একনজরে পরিসংখ্যান
এর আগে গত ডিসেম্বরে বিজেপির তরফ থেকে এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট নাকি ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। সেই সূত্রেই জর্জ সোরোস এবং কংগ্রেস যোগের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ করেছিল, গত ৪ বছরে কংগ্রেস যে সব ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে, সেই সব ইস্যুই আন্তর্জাতিক প্রচারের ওপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, পেগাসাস, আদানি থেকে শুরু করে জাতিগত জগণনা, হাঙ্গার ইন্ডেক্স, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা - এই সব ইস্যুই আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককলে মর্কিন মুলুকে আদানিদের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা, আমেরিকা ও কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থীদের তৎপরতা, ফৌজদারি মামলায় ডোভালকে আমেরিকার আদালতের সমনের মতো ইস্যু উঠে এসেছে। (আরও পড়ুন: কার্যত 'হার' মেনে নিয়েও লড়াই জারি? হাসিনাকে নিয়ে নয়া পদক্ষেপ বাংলাদেশে)
এদিকে বিজেপির এহেন আক্রমণের পরও ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কে তিক্ততা বাড়েনি ততটাও। এদিকে ট্রাম্পের আগমনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ফের মধুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মাঝে বিদায় বেলায় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের 'মতবিরোধ' দূর করার শেষ সুযোগ জেক সালিভানের এই দিল্লি সফর। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এই সফরকালে নাকি ডোভলের সঙ্গে সালিভান বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা করতে পারেন।