এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) সময় রাজ্য ভোট সন্ত্রাসের প্রক্ষিতে একটি টুইট করেন ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় আসার আমন্ত্রণ জানান। কী ভাবে সন্ত্রাসবিহীন নির্বাচন হয়েছে, তা দেখে যাওয়ার জন্য। যদিও তৃণমূলের মত ভিন্ন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী. মানিক সাহা
সন্ত্রাসবিহীন ভোট কী করে হয় তা শিখতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় আসার আমন্ত্রণ জানালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাঁর কথায় গণতন্ত্রের অর্থ কী তা শিখতে ত্রিপুরায় যেতে হবে মমতাকে। যদিও ত্রিপুরায় গত বিধানসভা ভোটে মানিক সাহার দল বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।
দলীয় কর্মীদের একটি সভায় মানিক সাহা বলেন, 'গণতান্ত্রিক পরিবেশে কী ভাবে ভোট করতে হয় তা ত্রিপুরাকে দেখে শেখা উচিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। গণতন্ত্রের আসল মানে বুঝতে ওঁনার ত্রিপুরা আসা উচিত। আমাদের রাজ্যে এলেই উনি বুঝতে পারবেন কী করে গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হয়। '
এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের বাংলার 'সন্ত্রাসে'র ছবি সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরতে বলেন। তিনি বলেন, 'আপনারা ঘরে ঘরে যান। বিশেষ করার যারা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক তাঁদের বাড়িতে যান। তাঁদেরকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় হিংসার কথা তুলে ধরুন।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এমন কী বহু জায়গায় তাদের মনোনয়ন জমা দিয়ে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলে জোড়া ফুল শিবির। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হয় ত্রিপুরায়। তার পর অন্তত ১৮টিরও বেশি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা হয়। মানিক সাহার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসের দিকে আঙুল তুলছে।