'বাবা এবং মা-ই হল আমার পৃথিবী।' লালুপ্রসাদ যাদব এবং রাবড়ি দেবীকে আবেঘন বার্তা দিয়েছেন ত্যাজ্য পুত্র তেজপ্রতাপ যাদব।ভোটের মুখে বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন স্মৃতি হয়েছে। বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে আরজেডি থেকে বহিষ্কার করেছেন লালুপ্রসাদ যাদব। শুধু দল থেকেই নয়, পরিবার থেকেও বড় ছেলেকে ত্যাজ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরজেডির প্রতিষ্ঠাতা।আর এই টানাপোড়েনের মাঝে দলের প্রতি তাঁর অটল আনুগত্য এবং নিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তেজপ্রতাপ। (আরও পড়ুন: নয়া বেতন কমিশন নিয়ে সরকারি কর্মীদের ওপর শঙ্কার মেঘ, সঙ্গে আছে স্বস্তির বাতাস)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বন্ধুরা আশা করে না যে আমরা ভিক্ষার বাটি নিয়ে তাদের কাছে যাব: শেহবাজ
এক্স বার্তায় ত্যাজ্য লালু-পুত্র লিখেছেন, 'আমার প্রিয় মা এবং বাবা। শুধু তোমরা দু'জনই আমার পর পৃথিবী। তোমরা এবং তোমাদের দেওয়া যে কোনও আদেশ ঈশ্বরের চেয়েও দামি। যদি তোমরা সেখানে থাকো তাহলে আমার সবকিছু আছে। আমার শুধু তোমাদের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা দরকার।' এরপরেই আরজেডি-র অন্দরে ষড়যন্ত্রের তোপ দেগে তিনি বলেন, 'বাবা, তুমি যদি না থাকতে তাহলে এই দলটা থাকত না এবং জয়চাঁদের মতো লোভী মানুষরাও থাকত না, যারা আমার সঙ্গে রাজনীতি করে। শুধু মা এবং বাবা, তোমরা দুজনে সবসময় সুস্থ ও ভালো থাকো।' ২৫শে মে আরজেডি থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করার পর তেজপ্রতাপ প্রথম প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন। যার প্রায় পুরোটাই জুড়ে ছিল বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথা। (আরও পড়ুন: CRPF জওয়ানের গুপ্তচরবৃত্তিকাণ্ডে কলকাতায় ৩ জায়গায় হানা, ২ জনকে তলব NIA-র)
আরও পড়ুন-করোনার ভ্রূকুটি দেশজুড়ে! সক্রিয় রোগী ৩০০০ পার, বাংলায় পরিস্থিতি কেমন?
সম্প্রতি তেজপ্রতাপের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়। অনুষ্কা যাদব নামের এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, 'আমি তেজপ্রতাপ যাদব। আমার সঙ্গে যিনি আছেন তিনি অনুষ্কা যাদব। ১২ বছর ধরে পরস্পরকে চিনি আমরা, গভীর ভাবে ভালবাসি একে অপরকে। এত বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছিলাম, কিন্তু সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আজ এই পোস্টের মাধ্যমে মনের জানলা খুলে দিলাম। আশাকরি আপনারা বুঝবেন।'পরে যদিও পোস্টটি মুছে দেওয়া হয় এবং তেজপ্রতাপ দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট 'হ্যাক' করা হয়েছিল। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তারপরই লালু ওই বিস্ফোরক বয়ানে ছেলেকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন। (আরও পড়ুন: দামবৃদ্ধির পর ফের নিম্নমুখী সোনা, রবিতে কলকাতার দোকানে কত রেট হলুদ ধাতুর?)
আরও পড়ুন: পাক সংঘর্ষবিরতি নিয়ে জয়শঙ্করের ওপর আস্থা রেখে মোদীকে তোপ প্রশান্ত কিশোরের
আরও পড়ুন: শর্মিষ্ঠা কাণ্ডে সরব পবন, 'গন্দা ধর্ম' মন্তব্যের জন্য চাইলেন মমতার গ্রেফতারি
২০১৮ সালের মে মাসে ধুমধাম করে লালু-পুত্র প্রাক্তন আরজেডি নেতা চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। তবে এক মাসের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর। তেজপ্রতাপ ডিভোর্সের মামলাও করেন, সেই মামলা চলছে ফ্যামিলি কোর্টে। ঐশ্বর্য রাই লালু পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাবড়ি ও তাঁর বড় মেয়ে মিসা ভারতী তাঁকে মারধর করতেন, খেতেও দিতেন না।সেই টানাপোড়েনের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতি হয় আরজেডি-র। চন্দ্রিকা দল ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলে যোগ দেন।এই পরিস্থিতির মাঝেই ১২ বছর ধরে এক মহিলার সঙ্গে তেজপ্রতাপের সম্পর্ক বিহার রাজনীতিতে ডামাডোল তৈরি করেছে।