ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই সময়ই ট্রুডোকে 'গভর্নর' বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। সেই বেলায় পড়শি দেশের নেতার 'অপমান' হজম করে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর আবার কানাডাকে ৫১তম মার্কিন প্রদেশ করার 'প্রস্তাব' দিয়েছেন ট্রাম্প। এই আবহে এবার নিজের কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন ট্রুডো। কানাডার মার্কিন প্রদেশ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, 'বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই।' সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, 'কানাডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নরকেও নেই।' (আরও পড়ুন: মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে আমেরিকার নামে রাখা হবে: ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: ভোটে জিতেও শান্তি নেই, পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় বিপাকে ট্রাম্প!
এদিকে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি এই নিয়ে বলেছেন, 'কানাডা কখনও এই ক্ষেত্রে পিছু হটবে না।' এদিকে জোলি অভিযোগ করেন, কানাডার চরিত্র বুঝতে পারেননি ট্রাম্প। কানাডার মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী। আমাদের মানুষরা খুবই শক্তিশালী। আমরা এই ধরনের কোনও হুমকির মুখে পড়ে কোনও ভাবেই পিছু পা হব না।' উল্লেখ্য, কানাডাকে মার্কিন সামরিক সহায়তা ও বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। এই আবহে কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম প্রদেশে পরিণত করার চাপ দিতে 'অর্থনৈতিক শক্তি' ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: রানাঘাটে ভারতের ৫ কিমি জমি কি সত্যি বাংলাদেশের দখলে? বিতর্কের মাঝে মুখ খুলল BSF)
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বাতিল বাংলাদেশের, আর ভারত নাকি বাড়িয়েছে হাসিনার ভিসার মেয়াদ: রিপোর্ট
আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগে কাঁটাতারে ঝুলে মৃত্যু বাংলাদেশি নাবালিকার, মা বললেন - 'ভারতকে যেন…'
এদিকে গতকাল ট্রাম্প বলেন, 'কানাডার ওপরে শুল্কের বোঝা চাপাব। কানাডা দিয়ে অনেকে অনুপ্রবেশ করে আমেরিকায়।' এর আগে মজা করে কখনও কানাডা দখল করে নেওয়ার 'ইঙ্গিত', কখনও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। আবার কখনও পানামা খাল পুনর্দখলের বার্তাও দিয়েছেন এই রিপাবলিকাননেতা। প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক বার্তায় হৃদস্পন্দন বাড়ছে বিশ্বের। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই তিনি কানাডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার সময় মজার ছলে আবার তাঁকে 'গভর্নর' বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা করলে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'কানাডার অনেকেই আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হতে ইচ্ছুক।' এদিকে তাঁর নিশানায় কানাডা ছাড়াও আছে মেক্সিকো। এর আগে এর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসে প্রথম যে নির্দেশগুলি তিনি দেবেন, তার মধ্যে অন্যতম হল মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারি আমদানি শুল্ক চাপানো হবে।