যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় জোরালোভাবে আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। গাজার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে তারা। এবার উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে আলাদা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডর পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। এরফলে স্থলপথে আক্রমণ আরও জোরদার হয়েছে। ইজরায়েলি সেনা বাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে গাজার মধ্য দিয়ে যাওয়া নেটজারিম করিডরটি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। উল্লেখ্য, এই করিডোর উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে আলাদা করে। ইজরায়েল হামাস জঙ্গিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, বন্দিদের মুক্তি না দিলে হামলার তীব্রতা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: এবার গাজায় গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করল ইজরায়েল, ‘নিশানায় জঙ্গিরা’
বুধবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কড়া ভাষায় হামাস জঙ্গিদের বন্দি মুক্তি এবং ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত মাসে ইজরায়েলি বাহিনী করিডরটি থেকে সরে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ গাজার বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া নিজ নিজ বাড়িঘরে ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে নতুন করে সেনা মোতায়েনের ফলে এই চলাচল আবারও কঠিন হয়ে পড়বে। ২ মাস ধরে যুদ্ধবিরতির পর হামলা চালায় ইজরায়েল। তাতে প্যালেস্টাইনের ৪০০ জনেরও বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ মাসের মধ্যে মঙ্গলবার গাজায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন মহিলা ও শিশু। জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বেইত লাহিয়ার সালাতিন এলাকায় একটি শোক সমাবেশ চলছিল। সেখানেই বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই একই পরিবারের সদস্য। ইজরায়েল দাবি করেছে, হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির শর্ত প্রত্যাখ্যান করায় এই হামলা চালানো হয়েছে। বুধবার প্যালেস্টাইনের দক্ষিণের রাফা শহরে আরেকটি বিমান হামলায় কমপক্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, মুসবাহ এলাকায় একটি গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যে রাফায় দুই হামাস জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। গাজা উপত্যকা জুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।