ইজরায়েলের তেল আভিভে একের পর এক বাসে পরপর বিস্ফোরণ ঘটল। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর না মিললেও পুলিশের তরফে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে যে জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে। আর যেভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা একেবারে নতুন নয়। একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে প্যালেস্তাইনের বিদ্রোহের সময় ইজরায়েলে যে একের পর এক ভয়াবহ বাস বিস্ফোরণ ঘটানো হত, তার ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে বৃহস্পতিবারের ঘটনা। ওরকম ঘটনা এখন কার্যত বিরল হয়ে উঠেছে। তাও ১৬ মাসের যুদ্ধের পরে গাজায় প্যালেস্তাইনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে যখন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি (যা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে দু'পক্ষই) আছে, তখন সেই পুরনো ধাঁচে বাস বিস্ফোরণের বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না তেল আভিভ। বরং ওই ঘটনার পরে সামরিক বাহিনীকে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে আরও জোরদার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েলের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে তেল আভিভ লাগোয়া দুটি শহরতলির তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আরও চারটি বিস্ফোরক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে যখন বাসগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তখন সেগুলি ডিপোয় ছিল। ফলে বাসে কোনও লোকজন ছিলেন না।
চোখ-কান খোলা রাখুন, জনগণনকে পরামর্শ পুলিশের
তারইমধ্যে ইজরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটকে সহায়তা করছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জনগণকে চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
আরও জোরদা অভিযানের পথে ইজরায়েল
এখনও পর্যন্ত সেই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। তবে ইজরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানকে আরও জোরদার করে তোলা হবে। কয়েকটি জায়গায় 'এন্ট্রি পয়েন্ট' আটকে দেওয়া হয়েছে। যে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে গত কয়েক মাসে বৃহাদাকারে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। আর ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে জঙ্গিদের নিশানা করা হচ্ছে।
'দুই শিশুর দেহ চিহ্নিত, মায়ের দেহ বলে অন্য দেহ পাঠিয়েছে হামাস'
আর তারইমধ্যে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, যে দুই শিশুর দেহ পাঠিয়েছে হামাস, তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু তাদের মা বলে দাবি করে যে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে, সেটা তাঁর দেহ নয়।
ইজরায়েলের পুলিশ ও পরিবারের সঙ্গে সমন্বয়ে দুই শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফরেন্সির মেডিলিন। হামাসের হাতে অপহৃত অবস্থায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাদের খুন করা হয়েছিল। তবে তাদের মা হিসেবে দাবি করে যে দেহ দেওয়া হয়েছে, তা ওই মহিলার বা অন্য কোনও অপহৃত ইজরায়েলির নয় বলে দাবি করা হয়েছে।