শুক্রবার 'ছাঁটাই করা চালে'র রপ্তানি নিষিদ্ধ করল ভারত। ঢেঁকি বা মেশিনে ছাঁটা বা খোসা ছাড়ানো চালের কথা বলা হয়েছে। চলতি বছরের বর্ষায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এর ফলে রোপণও কম। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরেই চালের যোগান কমতে পারে। ফলে দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই রপ্তানি কমিয়ে দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। রয়টার্স সূত্রে মিলেছে এই খবর।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাসমতী নয়, এমন চালের রফতানির উপর ২০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 'ভুষিসমেত চাল (ধান)' এবং 'ভুষিসহ (ব্রাউন) চালের উপর ২০% রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
যদিও কিছু ক্ষেত্রে যুক্তিযত ছাড় দেওয়া হবে। এই নিষেধাজ্ঞার আগে যে জাহাজগুলিতে চাল তোলা শুরু হয়েছে, শিপিং বিল দাখিল হয়ে গিয়েছে তাদের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিছু রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি যে জাহাজগুলি ইতিমধ্যেই ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে তাদের ক্ষেত্রেও এই সময় পর্যন্ত কিছু পরিমাণে রফতানির অনুমতি মিলবে। এক্ষেত্রে চালের রফতানির চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা থাকতে হবে।
ভারত বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রপ্তানি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত চালের রপ্তানি হ্রাস করলে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খাদ্যশস্যের দাম বাড়বে। এমনিতেই বিশ্ব বাজারে খরা, তাপপ্রবাহ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দাম আকাশছোঁয়া।
রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। খরিফ মরসুমে ধানের বপন শুরু থেকেই অনেক কম হয়েছে। বৃষ্টিপাতের অভাবের কারণে এই পরিস্থিতি। বৃষ্টির অভাবে এ বছর ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা যায়নি(ক্লিক করুন)। ফলে আগামিদিনে দেশে ধীরে ধীরে যোগান হ্রাস পেতে পারে। সে বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ সরকার।
_1662729624770.jpg)
এর আগে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সময় সরকার জানিয়েছিল যে, দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দুর্বল দেশগুলির চাহিদা মেটাতে এই পদক্ষেপ। শুধু গম রপ্তানিই যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা কিন্তু নয়। গমের আটা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত পণ্য যেমন ময়দা, সুজি (রাভা/সির্গি), আস্ত আটা রফতানির উপরেও পরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।