একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে নাকি পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। অনেকে আবার সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, পদত্যাগ করেই দিয়েছেন সুখু। তবে এই সব জল্পনার মাঝেই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না। সুখু বলেন, 'না আমার থেকে কেউ ইস্তফাপত্র চেয়েছে, না কারও কাছে আমি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।' (আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া কমাল রেল, ভোটের আগে বড় উপহার যাত্রীদের)
আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসবে পজিটিভ খবর, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে সুখবিন্দর সুখু বলেন, 'জয়রাম ঠাকুর যখন বিধানসভায় বক্তব্য রাখছিলেন, তখন কেউ এসে আমাকে বলেন যে এই ধরনের খবর ছড়িয়েছে। আমি তো তার আগে দেখিওনি। আমি এটাই বলতে চাই আমরা আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব। আমি সংঘর্ষের মাধ্যমে রাজনীতি করে এসেছি। আর আপনি পরিবার ধরে রাজনীতিতে এসেছেন। জয় আমাদের হবে। হিমাচলের জনতার জয় হবে। আমাদের এখনই বাজেট পাশ হবে। সেখানেই ভোটাভুটি হোক। যাঁরা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যেও অনেকেই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আজ কংগ্রেসের জয় হবে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে যাঁরা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও মুখ বন্ধ হবে।'
এর আগে হিচামলপ্রদেশের ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আজ সকালে। বিক্রমাদিত্যর পদত্যাগে আরও চাপে পড়েন সুখু। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে সুখুর বিরুদ্ধে বিক্রমাদিত্য অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্রকেও অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্রমাদিত্য। এদিকে এই সবের মাঝে আস্থা ভোটের দাবিতে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লার সঙ্গে দেখা করে এসিছেলন বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের দাবি জানান রাজ্যপালের কাছে। এরপরই বিধানসভা থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সহ ১৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।