'দুর্দান্ত অগ্রগতি হয়েছে।' শুল্কযুদ্ধের আবহে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চিন ও মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠকের পর মন্তব্য করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধের কি এবার ইতি হতে চলেছে? পাল্টা শুল্কনীতির সমাধান সূত্র খুঁজতে শনিবার থেকে সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকে বসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির। শনিবারের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি।
আরও পড়ুন-'ট্রাম্পকে শিক্ষিত করুন!' US-র কাশ্মীর মধ্যস্থতার প্রস্তাবে সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা
তবে আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন যে অনেক ক্ষেত্রে একমতও হয়েছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘সুইজারল্যান্ডে আজ চিনের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে পুরো বিষয়টি নতুন করে সাজানো হয়েছে। চিন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের মঙ্গলে আমরা দেখতে চাই, মার্কিন ব্যবসার জন্য চিন দরজা খুলে দিচ্ছে। দুর্দান্ত অগ্রগতি হয়েছে।
অন্যদিকে চিনের সরকারি সংবাদসংস্থা শিনহুয়া বলেছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক সমস্যা সমাধানের পথে বড় পদক্ষেপ। যদিও চূড়ান্ত সমাধানের জন্য আরও ধৈর্য ধরতে হবে; সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।’ জানা গিয়েছে, রবিবারও বৈঠক করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এর আগে মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এই বৈঠক থেকে যে বড় ধরনের চুক্তি হবে, এটা আশা করা ঠিক হবে না। যদিও তিনি বলেন, বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার পথে এটা বড় পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন-'ট্রাম্পকে শিক্ষিত করুন!' US-র কাশ্মীর মধ্যস্থতার প্রস্তাবে সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ভারত, কানাডা, চিন-সহ একাধিক দেশের উপর ২ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও চাপের মুখে কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয় মার্কিন প্রশাসন। পারস্পরিক শুল্কের উপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বের বাকি দেশগুলির জন্য। কিন্তু রেহাই মেলেনি চিনের। তাদের উপরে ১৪৫ শতাংশ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়। পালটা জবাবে চিন মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপ চিনের উৎপাদন খাতে বড় প্রভাব ফেলেছে। এপ্রিল মাসে চিনের কারখানার উৎপাদন গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছে।