গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইরান সমর্থিত প্যালেস্তিনীয় গোষ্ঠী। আর এর জেরে এবার গাজায় মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পথ বন্ধ করে দিল ইজরায়েল। উল্লেখ্য, রবিবারই ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গাজায়। এদিকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। এই আবহে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে গাজা নিয়ে।
আরও পড়ুন: 'বন্ধু' ইউনুসকে বড় বার্তা, বাংলাদেশ নিয়ে 'উদ্বিগ্ন' অমর্ত্য সেন বললেন...
এদিকে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রচেষ্টায় প্রধান মধ্যস্থতাকারী হল মিশর। গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ইজরায়েলের সমালোচনা করেছে মিশর। এই নিয়ে মিশরের বিদেশমন্ত্রী বদর আবদেলাতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'কাউকে শাস্তি দিতে অনাহার বা ত্রাণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।' এদিকে ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি বিদেশ মন্ত্রকও। ইজরায়েলের এই পদক্ষেপকে 'ব্ল্যাকমেইলিং এবং সম্মিলিত শাস্তির হাতিয়ার' বলে অভিহিত করেছে তারা। এদিকে হামাসও ইজরায়েলের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এদিকে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হামাসকে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে আরও কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে তাদের।' উল্লেখ্য, এর আগে কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার পরে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্যে ইজরায়েল এবং হামাসকে রাজি করানো হয়েছিল। এদিকে এরই মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে আমেরিকা গাজা 'দখল' করবে।