১৯৯১ সালের জুন মাস। নেদারল্যান্ডসে একটি কনফারেন্স থেকে দেশে ফিরেছেন মনমোহন সিং। বাড়ি ফিরে ক্লান্ত মনমোহন ঘুমাতে চলে গিয়েছিলেন। তখনই আসে ফোনটা। সেই ফোন তুলেছিলেন মনমোহনের জামাই বিজয় তঙ্খা। ফোনটা করেছিলেন পিসি অ্যালেক্সান্ডার। তিনি পিভই নরসিমহা রাওয়ের আস্থাভাজন ছিলেন। তাঙ্খাকে আলেক্সান্ডার বলেন মনমোহন সিংকে জাগিয়ে দিতে। এক কিছু ঘণ্টা পরই মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন আলেক্সান্ডার। তখনই মনমোহন সিং জানতে পারেন, নরসিমহা রাও তাঁকে দেশের অর্থমন্ত্রী করতে চাইছেন। তবে রাজনীতির থেকে বহু দূরে থাকা মনমোহন সেই কথাকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তখন মনমোহন ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। (আরও পড়ুন: তিনি আজ নেই, তবে চিরকাল থেকে যাবে তাঁর ছায়া, তিনি - ডঃ মনমোহন সিং)
আরও পড়ুন: মনমোহন সিং: রাজনীতির কাছে পরাজিত এক রাজনীতিবিদ
তবে ১৯৯১ সালের ২১ জুন মনমোহন সিংয়ের ইউজিসি অফিসে আরও একটা ফোন আসে। অফিস থেকে মনমোহনকে বাড়ি যেতে বলা হয়। তারপর প্রস্তুত হয়ে ক্যাবিনেটের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলা হয় মনমোহনকে। এই নিয়ে পরবর্তীতে মনমোহন সিং বলেন, 'শপথ গ্রহণ করা দলের সদস্য হিসেবে আমার নাম দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। আমার মন্ত্রক পরে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে নরসিমহা রাও আমাকে শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আমি অর্থমন্ত্রী হতে চলেছি।' সেটাই বদলে দিয়েছিল ভারতের ভাগ্য। অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভারতের অর্থনীতিক উদারীকরণের রাস্তা তৈরি করেন মনমোহন সিং। প্রায় দেউলিয়া হতে চলা ভারতকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিক শক্তিতে পরিণত করেন মনমোহন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সচিাবালয়ের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন করেও বাতিল, তারপর...)