প্রয়াগরাজে মহা ধুমধামের সঙ্গেই চলছে মহাকুম্ভ মেলা। রোজই মেলা থেকে কতই না খবরাখবর আসছে। সোশাল মিডিয়ায় কত ভিডিয়ো, কত রিল, কত ছবি! তা সেইসব ছবি, রিল, ভিডিয়োয় আপনি কি 'হ্যারি পটার'কে খুঁজে পেয়েছেন? পাননি? তাহলে আসুন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেওয়া যাক! কারণ, সোশাল মিডিয়া আর ভাইরাল ভিডিয়োর দৌলতে তিনি কিন্তু ইতিমধ্য়েই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন।আসলে সত্যি সত্যি রুপোলি পর্দা কিংবা বইয়ের পাতা থেকে হ্যারি পটার সটান মহাকুম্ভে চলে আসেননি। কিন্তু, যিনি এসেছেন, তাঁকেও অনেকটাই পর্দার হ্যারি পটার - অর্থাৎ - বিখ্য়াত ব্রিটিশ অভিনেতা ড্যানিয়েল ব়্যাডক্লিফের মতোই দেখতে! এবং অবশ্যই তিনি বিদেশি।ইনস্টাগ্রামে সেই অতিথির একটা সুন্দর ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে প্রয়াগরাজটকটাউন নামে একটি প্রোফাইল থেকে। ঢিলেঢালা পোশাক, ঘাড়ে একখানা চাদর আর কাঁধে মাঝারি আকারের লেন্স-সহ ক্যামেরা ঝুলিয়ে পরম তৃপ্তিতে শালপাতার থালায় পরিবেশন করা খাবার খাচ্ছেন এক বিদেশি যুবক। যাঁকে একঝলক দেখলে সত্যিই হগওয়ার্টসের সেই দামাল ছাত্রটির কথা মনে পড়তে বাধ্য, যাঁকে সারা বিশ্ব চেনে হ্যারি পটার নামে! ইতিমধ্যে একজন সাংবাদিক ব্যুম নিয়ে তাঁর কাছাকাছি যেতেই হেসে ফেলেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিয়ো। লোকজন দেখছে, মজাও পাচ্ছে। সেটা এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গেলেই ভালো মতো বোঝা যাবে।এক নেট ইউজার যেমন লিখেছেন, 'ওঁকে তো একেবার হ্যারি পটারের মতো দেখতে!' আরও এক নেটিজেনের মন্তব্য, 'হ্যারি পটার মহানন্দে প্রসাদ খাচ্ছেন!'আরও একজন ওই যুবকের তৃপ্তি করে খাবার খাওয়া দেখে মন্তব্য করেছেন, 'ইংরেজের ভাণ্ডারা রিঅ্যাকশন' (ভাণ্ডারার খাবার খেয়ে ইংরেজের প্রতিক্রিয়া)। যদিও ভাইরাল ভিডিয়োয় যাঁকে দেখা গিয়েছে, তিনি আদৌ ইংরেজ কি না, সেটা জানা যায়নি।আরও একজন প্রশংসার সুরে লিখেছেন, 'এটা দেখে খুব ভালো লাগল, যে ওই যুবক একটুও খাবার নষ্ট করেননি।' কেউ আবার লিখেছেন, ওই যুবকের শুধু 'শরীরটাই ফিরিঙ্গির মতো, কিন্তু মনটা খাঁটি দিশি!'সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োয় ওই যুবককে খাবার শেষ করার পর আস্ত শালপাতার থালাটাই জিভ দিয়ে চেটে খেতে দেখা গিয়েছে। এটা দেখেও অনেকে মজা পেয়েছেন। তাঁদের মতে, পুরো ভিডিয়োয় ওই অংশটাই ছিল সবথেকে সুন্দর।তবে, কেউ কেউ আবার অন্য একটি বিষয়ও তুলে ধরেছেন। তাঁদের বক্তব্য, একজন মানুষ, যিনি দেশের অতিথি, তিনি কি তৃপ্তি করে একটু খাবারও খেতে পারবেন না? খাবার খেতে ব্যস্ত ওই যুবকের দিকে যেভাবে সাংবাদিক ব্যুম এগিয়ে দিয়েছেন, তা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নেটিজেনরা।