মুম্বইয়ের একটি ভাটায় ইটটি তৈরি করা হয়েছিল। এরপর পাঁচজন ভক্ত মুম্বই থেকে ইট পবিত্র শহরে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সেখান থেকে তারা ইট নিয়ে মুম্বইয়ে ফিরে এসেছেন। এই ইটটি কালো মাটি দিয়ে তৈরি।
মক্কা থেকে মুম্বই পৌঁছলো এই ইট।
গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। ঠিক একই সময়ে অযোধ্যায় ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণের প্রস্তুতিও চলছে। রাম জন্মভূমি বিবাদে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অযোধ্যার ধন্নিপুরে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছিল মুসলিম পক্ষকে। সেই জমিতেই তৈরি হতে চলেছে নতুন এই মসজিদ। যার নাম হল মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ। এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে চলেছে দ্রুতই। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য প্রথম ইটটি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মক্কায়। সেখানে পবিত্রকরণের পরে ইটটি মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
মুম্বইয়ের একটি ভাটায় ইটটি তৈরি করা হয়েছিল। এরপর পাঁচজন ভক্ত মুম্বই থেকে ইট পবিত্র শহরে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সেখান থেকে তারা ইট নিয়ে মুম্বইয়ে ফিরে এসেছেন। এই ইটটি কালো মাটি দিয়ে তৈরি। বিশেষ আকৃতির এই ইট সাধারণ ইটের তুলনায় অনেকটাই বড়। এর গায়ে মসজিদের নাম এবং কোরানের ‘আয়াত’ খোদাই করা রয়েছে। আগামী ১২ মার্চ রমজান মাস শুরু হবে। তার পরে মসজিদের স্থান অযোধ্যার কাছে ধন্নিপুর গ্রামে ইট নিয়ে যাওয়া হবে। মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সদস্য হাজি আরাফাত শেখের বাড়ি থেকে ইটটি নিয়ে যাওয়া হবে।
অযোধ্যা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে, হাজি আরাফত জানান, পীর বা পবিত্র ব্যক্তিরা পায়ে হেঁটে বিশাল মিছিল করে ইটটি কুরলা থেকে পূর্ব মুম্বইয়ের শেষ শহরতলি মুলুন্ডে নিয়ে যাবেন। এরপর ইটটি ৬ দিন সড়কপথে যাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হবে লখনউ এবং অবশেষে সেখান থেকে পৌঁছবে ধন্নিপুরে। যদিও ইট সড়কপথে পায়ে হেঁটে না গাড়িতে বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে তিনি জানান। ইটটির পবিত্রকরণ নিয়ে হাজি আরাফত বলেন, ইটটিকে মক্কার জমজমের পবিত্র জল দিয়ে ধুয়ে এবং মদিনায় আতর দিয়ে পবিত্র করা হয়েছে।