ক্যাম্পাসের দেওয়ালে ‘স্ক্র্যাপ এনটিএ’ কথা দুটো লিখেছিলেন এক পড়ুয়া। আর শাস্তি হিসাবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য বরখাস্ত করা হল। এদিকে ওই ছাত্রীকে এর আগেও দু মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এর আগে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছিল।
ওই ছাত্রী স্ল্যাভোনিক ও ফিনো উগ্রিয়ান স্টাডিস ডিপার্টমেন্টের তিনি এমএ পড়েন। দিশা স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের তিনি সদস্যা। গত ৩১শে জুলাই ওই ঘটনা হয়েছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছিল। এরপর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
সেই সাসপেনসশন অর্ডারে বলা হয়েছিল, দিল্লি ইউনিভার্সিটির প্রকটরের সঙ্গে যোগাযোগের পরে আপনাকে ডিপার্টমেন্ট অফ স্ল্যাভনিক থেকে আপনাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়েক কাছে এফআইআরের একটা কপি এসেছে। আপনি এই ধরনের দেওয়াল লিখন লিখছিলেন। সেই সময় হাতে নাতে আপনাকে ধরা হয়েছে। গত ৩১শে জুলাই আপনি এই ধরনের আপত্তিকর লেখা লিখছিলেন। সেই সময় আপনাকে ধরা হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এনিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর দোষ প্রমাণিত হয়। এরপরই তাকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
নির্দেশে বলা হয়েছে, এই ৬ মাস তিনি ক্লাস করতে পারবেন না। পরীক্ষা দিতে পারবেন না। ইনস্টিটিউটের কোনও প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন না। দিশা স্টুডেন্ট্স অর্গানাইজেশন এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে গোটা দেশ জুড়েই এনিয়ে প্রতিবাদ হয়েছিল। পরীক্ষায় নানা গোলোযোগ, পেপার লিক, ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে দেশ জুড়েই প্রতিবাদ।
এদিকে ওই সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তারা এবার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এমনকী সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে সম্প্রতি DUSU ভোটের সময় গোটা এলাকায় প্রচুর দেওয়াল লিখেছিল ABVP, NSUI। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও দিন কোনও এফআইআর হয়নি। অথচ একজন ছাত্রী একটি দেওয়াল লিখতেই তার বিরুদ্ধে এত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে এই যে স্ক্র্যাপ এনটিএ এই বাক্যটির অর্থ হল ছাত্রছাত্রীরা এই স্টিস্টেমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছাত্র সংগঠন। তারা নর্থ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনিয়ে অতিরিক্ত কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।