Elon Musk to Visit India: গতবছর পিছিয়ে ছিলেন ট্যুর, মোদীর সঙ্গে কথা হতেই মাস্ক বললেন,'এবছর ভারত সফরে..'
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 19 Apr 2025, 02:50 PM ISTপ্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথোপকথনের পর ইলন মাস্কের বড় ঘোষণা।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথোপকথনের পর ইলন মাস্কের বড় ঘোষণা।
সেবারটা ছিল ২০২৪ সাল। ভারত তখন লোকসভা ভোট ঘিরে সরগরম। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ ভারত সফর পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। সেবার তিনি টেসলার কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে আসতে পারেননি, বলে জানান। তবে সদ্য মাস্কের সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তারপরই এক্স পোস্টে টেসলা প্রধান জানিয়ে দিলেন তিনি আসবেন ভারতে চলতি বছরেই। আসছেন বছরের কোন সময়?
এদিকে, ২০২৫ সালেই যে তিনি ভারতে সফর করতে আসছেন, সেকথা জানিয়েছেন মাস্ক। মোদীর সঙ্গে কথা বলার পরই এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন,' প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। আমি এই বছরের শেষের দিকে ভারত সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।' প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় মোদী মাস্কের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। তারপর সদ্য মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মোদীর। মাস্কের সাথে তার ফোন কল সম্পর্কে মোদী X-এ লিখেছেন, ' ইলন মাস্কের সাথে কথা বলেছি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে এ বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের বৈঠকের সময় আলোচিত বিষয়গুলি। আমরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই ক্ষেত্রগুলিতে আমেরিকার সাথে আমাদের অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।' এর আগে গত বছরই এপ্রিলে তিনি তাঁর ভারত সফরের কর্মসূচি বাতিল করেন। জানান, পরে কোনও সময়ে ভারতে আসবেন তিনি। এরপর আজই এক্স পোস্টে টেসলা প্রধান তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মাস্ক ঘোষণা করলেন, তাঁর ভারত সফরের কথা।
স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন আমেরিকায় মোদীর সঙ্গে দেখা করতে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মতে, দুই ব্যক্তিত্ব উদ্ভাবন, মহাকাশ অন্বেষণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে ভারতীয় ও মার্কিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন সেবার।
মাস্ককে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মাস্ক, ট্রাম্প প্রশাসনের আওতায় ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফসিয়েন্সি’(DOGE)-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা সরকারি ব্যয় কমানো এবং ফেডারেল কর্মী সংখ্যা কমানোর জন্য আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করা একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।