আর হাতে গোনা কয়েক মাসের অপেক্ষা! ভাদ্র পার করলেই 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে' কাশের বনে দোলা লাগার দিন শুরু হবে। ভোরের ঘাসে শিউলি ছড়িয়ে থেকে জানান দেবে, উমা আসছেন। মা দুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য ধীরে ধীরে গোটা বাংলার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে গোটা বিশ্বজোড়া বাঙালি। এরই মাঝে যখন বাঙালির প্রাণের উৎসব নিয়ে সাজো সাজো রব, তখন খানিকটা তাল কেটেছিল দিল্লির ডিডিএ পার্কের দুর্গাপুজো নিয়ে। তবে যাবতীয় বিতর্কে ইতি টেনে মা দুর্গার আরাধনায় এখানে পুরনো নিয়মেই পালিত হবে দুর্গাপুজো।
ডিডিএ পার্কের দুর্গাপুজোর বুকিংয়ের জন্য ২০১৯ সালের নির্ধারিত টাকার অঙ্কের হিসাবেই সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা করেন পুজোর উদ্যোক্তারা। ২০১৯ সালের বিধি অনুযায়ী ডিডিএ পার্কে দুর্গাপুজোর জন্য ২৪ টাকা করে প্রতি স্কোয়ার মিটারে 'সিকিউরিটি মানি' নেওয়া হত। ২০২২ সালে সেই রেট বৃদ্ধি করে প্রতি স্কোয়ার মিটারে ৬৬ টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এরপরই উদ্যোক্তারা এই রেট কমানোর আবেদন জানান। জানা গিয়েছে, সেই পর্বের পর সিকিউরিটি ডিপোজিট প্রতি স্কোয়ার মিটারে ২৪ টাকা করা হয়েছে। ভোগ রান্না না করার জন্য যে ১০ লক্ষ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিটের কথা বলা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার বিধি নেই বাসনপত্র ধোয়ার ক্ষেত্রেও। ফলে এবার অপেক্ষা পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ার! Video:কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মহা সমারোহে আয়োজিত যজ্ঞ, পুজোপাঠ
পুজোর উদ্যোক্তা পূর্বাঞ্চল বঙ্গীয় সমিতির তরফে জানানো হয়েছে যাতে প্রতি স্কোয়ার মিটারে সিকিউরিটির টাকার অঙ্ক ১৫ টাকা করা হয়, তার জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ডিডিএ এই টাকার অঙ্ক সহ বিধি আরোপ করেছিল রামলীলা উদ্যোক্তাদের জন্যও। তবে সকলের উদ্যোগে সেই অর্থের পরিমাণ কমেছে। দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা মনে করছেন কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে।