সুতীর্থ পত্রনবীশচিনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, রাষ্ট্রনেতা জিয়াং জেমিন প্রয়াত হয়েছেন বুধবার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ১৯৮৯ সালে তিয়ানমেন স্কোয়ার গণহত্যার পরে তিনি চিনকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চিনের রাষ্ট্রনেতা যিনি প্রথম ১৯৯৬ সালে ভারতে এসেছিলেন তিনি হলেন জিয়াং জেমিন।কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আমাদের প্রিয় কমরেড জিয়াং জেমিন ১২টা ১৩মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন। লিউকোমিয়া ও মাল্টি অর্গান ফেলিওরে ভুগছিলেন তিনি।১৯৮৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিসির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্য়ানও ছিলেন তিনি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কমরেডের মৃত্যু আমাদের দলের, মিলিটারির অপূরণীয় ক্ষতি । তিনি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন নেতা ছিলেন। একজন মহান মার্ক্সিস্ট, রাষ্ট্রনেতা, মিলিটারি কৌশলী, কুটনীতিবিদ ও কমিউনিস্ট যোদ্ধা।তিয়ানমেন স্কোয়ারে যখন রক্ত ঝড়েছিল তারপরেই রাজনৈতিক উত্থান হয়েছিল জিয়াংয়ের। তিয়ানমেন গণহত্যার পরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিন যখন কোণঠাসা তখনই সামনে আসেন জিয়াং। ফের গণতান্ত্রিক পথে তিনি চিনকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন।ইস্ট এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ দ্য ন্যাশানাল ইউনাভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ডিরেক্টর বার্ট হফম্যানের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের স্বর্ণযুগেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিনকে। আসলে তিনি বিশ্বাস করতেন, চিন তার দেশবাসীর জন্য় ভালো কিছু করতে চায়।১৯৯৬ সালে তিনি ভারত সফরে এসেছিলেন। এমনকী সেই সময় দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতিতেও তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। একে অপরকে হামলা না করা, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হওয়া নিয়ে সেই সময় কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তিনি সেই সময় ২০০৩ সালে চিনে গিয়েছিলেন সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্য়ান হিসাবে।