প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিতর্কিত এলাকায় থাকা গ্রামগুলিকে নিজেদের কব্জায় রাখতে বিশেষ কৌশল নিচ্ছে চিন। সূত্রের খবর, অরুণাচলের আপার সুবনসিঁড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ইউমাই গ্রামে চিনের পিপসল লিবারেশন আর্মি রাঁধুনিদেরও মোতায়েন করেছে। কেন জানেন? ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামে চিনের রকমারি খাবার তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে আসল লক্ষ্য রান্না শিখিয়ে, স্থানীয়দের পাশে থেকে গ্রামের মানুষকে নিজেদের কব্জায় রাখা। একেবারে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম ইউমাই। সীমান্ত সুরক্ষার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকা। গত কয়েকবছর ধরেই সেই এলাকাতেই নজর পড়েছে চিনের। মিলিটারি পোর্টালের একটি রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি সেখানে একেবারে উন্নয়নের জোয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। পিচের রাস্তা, স্কুল, স্বাস্থ্য়কেন্দ্র, থানা তৈরি হয়েছে। অনেকেই সেখানে এখন পাকাপাকিভাবে থাকার কথা ভাবছেন। তবে ওই এলাকার জনসংখ্যা বা কেন অত মানুষ ওখানে বসবাস করার জন্য় আসছেন সেব্যাপারে কিছু রিপোর্টে বলা হয়নি। তবে ২০২১ সালের অগস্ট মাসে চিনের সরকারি সংবাদপত্রের উল্লেখ করা হয়েছিল, ওখানে ২০০জন মতো থাকেন। ১৯৯৯ সালে ওখানে জনসংখ্যা ছিল ২০জন, ২০০৯ সালে ছিল ৩০জন। আর এখন ওখানে একেবারে সমৃদ্ধশালী গ্রাম। অন্তত ৬৭টি পরিবারের বাস এলাকায়। তিব্বত মিলিটারি রিজিয়নের সহযোগিতায় এলাকায় ৫টি হোমস্টেও খোলা হয়েছে।টিভি, অক্সিজেন জেনারেটর, ওয়াই-ফাই কানেকশনও আছে এলাকায়। হোটেলে কীভাবে চিনা খাবার তৈরি করতে হয় সেটাও শেখাচ্ছে চিনের সেনার কুক। শুয়োরের মাংস, মশলাদার চিকেন কীভাবে তৈরি করতে হয় সেসব শেখানো হচ্ছে। মিলিটারি ডক্টরও এলাকায় যাচ্ছেন। আর উদ্দেশ্য় একটাই, স্থানীয় তিব্বতীয়দের সঙ্গে ভাব জমানো।