সংসদে এদিন এক প্রশ্নের মুখে পড়ে কিরেন রিজিজু এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খোলেন। রিজিজু বলেন, ‘ল কমিশন থেকে আসা যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে, ইউনিফর্ম সিভিল কোড সম্পর্কিত যে বিষয়টি রয়েছে, তা বিবেচনা করছে ২২তম ল কমিশন। ফলে এই সিভিল কোড লাগু হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।’
ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আপাতত পরিস্থিতি কোনদিকে? তার খানিকটা আভাস দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, আপাতত ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু করার সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র। রাজ্যসভায় এই প্রসঙ্গ ছাড়াও বিচারব্যবস্থা সংক্রান্ত বহু বিধ বিষয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সংসদে এদিন এক প্রশ্নের মুখে পড়ে কিরেন রিজিজু এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খোলেন। রিজিজু বলেন, ‘ল কমিশন থেকে আসা যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে, ইউনিফর্ম সিভিল কোড সম্পর্কিত যে বিষয়টি রয়েছে, তা বিবেচনা করছে ২২তম ল কমিশন। ফলে এই সিভিল কোড লাগু হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।’ তিনি এরই সঙ্গে বলেন, তিনি অনুরোধ করেছেন ২১তম ল কমিশনকে এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করতে। এছাড়াও এই বিষয় নিয়ে রেকমেন্ডেশন দিতে।
উল্লেখ্য, ২১ তম ল কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ২০১৮ সালের ২১ অগস্ট। এছাড়াও বিচারপতিদের নিয়োগ নিয়ে সরকারের কোনও প্রতিনিধিকে নিয়োগ করা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন যায় কিরেন রিজিজুর কাছে। তাঁর কাছে প্রশ্ন যায়, ‘বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকার তার প্রতিনিধি নিয়োগের দিকে যাচ্ছে কিনা’। এছাড়াও প্রশ্ন যায়,'সরকার বিচারক নিয়োগের জন্য ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) মতো একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক গঠনের কথা ভাবছে কিনা?' এই প্রসঙ্গেত, ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি এমওপি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী জানিয়েছে, সেই বক্তব্য শোনান কিরেন রিজিজু। এদিকে, কলেজিয়াম নিয়েও কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, গত ১৮ টি কলেজিায়াম প্রস্তাবকে ৩ বছরে ফিরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টও ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ টি কলেজিয়ামকে ফের বজায় রেখেছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে টানা কলেজিয়াম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিচারপতিদের মধ্যে বিস্তর চর্চা চলেছে। প্রসঙ্গত,১৯৯৩ সাল থেকে কলেজিয়ামের আওতায় রয়েছে বিচারপতিদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি। এই কলেজিয়াম ব্যবস্থার প্রধান হিসাবে রয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সংসদে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় কিরেন রিজিজু আরও বলেন, যে জেলা এবং অধস্তন আদালতে বিচারক এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারগুলির আওতার মধ্যে পড়ে।