বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রফাদফা করার জন্যে বিচারক নাকি ঘুষ চেয়েছিলেন অতুল সুভাষের কাছ থেকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারের বাবা পবন কুমার। তাঁর অভিযোগ, ছেলের থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বিচারক রীতা কৌশিক। প্রথমে নাকি ২০ হাজার টাকা থেকে ঘুষ চাওয়া শুরু করেছিলেন সেই বিচারক। এরপর ক্রমেই সেই পরিমাণ বাড়তে থাকে। এদিকে অভিযোগ, আদালতেই নাকি বিচারকের সামনে অতুলের স্ত্রী তাঁকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'তুমি এখনও আত্মহত্যা করলে না?' যা শুনে নাকি এই বিচারক হেসেছিলেন। (আরও পড়ুন: গভীর রাতে হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, উদ্ধার ৩০ রোগী, তবে মর্মান্তিক মৃত্যু ৬ জনের)
আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ পুলিশের! একদিনেই চিহ্নিত ২০ অনুপ্রবেশকারী
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া। সেখানে নিকিতা অভিযোগ করেছিলেন, পণ চেয়ে তাঁকে হেনস্থা করতেন অতুল। সেই অভিযোগে নাম ছিল অতুলের ভাই, বাবা-মায়ের নামও। এছাড়াও সেই অভিযোগে আইপিসির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছিল অতুলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ পত্রেই নিকিতা অভিযোগ করেছিলেন, অতুল মদ্যপান করে তাঁর সঙ্গে 'জানোয়ারের মতো আচরণ' করত এবং ১০ লাখ টাকা পণ চেয়ে নাকি মারধর করত। এমনকী স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি পুরো বেতন নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতেন অতুল। তবে নিজের ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে এই অভিযোগের জবাব দিয়ে গিয়েছেন অতুল। (আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!)
আরও পড়ুন: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতটা জানেন? কী হাল পাকিস্তানের?
স্ত্রীর করা অভিযোগের জবাবে অতুল বলেন, 'আমার স্ত্রীর কথাতেই আমি বছরে ৪০ লাখ টাকা উপার্জন করতাম। সেটা ২০২১ সালে। যখন আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর এরপরে আমি বছরে ৮০ লাখ টাকা উপার্জন করছিলাম। আর তাঁর পরিবারের দাবি আমি ১০ লাখ টাকা পণ চাইছিলাম। এটা হাস্যকর। যে ব্যক্তি বছরে ৪০ লাখ বা ৮০ লাখ টাকা উপার্জন করছে, সে ১০ লাখ টাকা পণের জন্যে কেন নিজের স্ত্রী বা সন্তানকে ত্যাগ করবে?' এরপর মারধরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতুল নিজের সুইসাইড নোটে সাফাইয়ে লিখে গিয়েছেন, 'আমার স্ত্রীর অভিযোগ আমি নাকি তাঁকে মেরে কালশিটে ফেলে দিতাম। আমার মতো স্বাস্থ্যবান কেউ যদি সেভাবে মারধর করত, তাহলে তাঁর হাড় ভাঙত বা কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন থাকত। সেগুলির ছবি কোথায়, প্রমাণ কোথায়? সাক্ষী কোথায়?'