সিমরান সিং
মধ্য আমেরিকার হন্ডুরাসের তেগুসিগালপায় টনকন্টিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি বিমানে এক যাত্রী আগ্নেয়াস্ত্র বের করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এর জেরে শোরগোল পড়ে যায় বিমানের অন্দরে। বিমানটি উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই এ ঘটনা ঘটে, যা কেবিনে আলোড়ন তৈরি করে। অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা দ্রুত বন্দুকধারীকে পরাস্ত করে এবং কোনও আঘাত প্রতিরোধ করে। পাইলট দ্রুত ফ্লাইটটিকে টনকনটিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনেন, যেখানে এটি বৃহস্পতিবার নিরাপদে অবতরণ করে। দ্য সানের খবরে বলা হয়, বিমানটি মূলত রোয়াতানের উদ্দেশে যাত্রা করছিল।
পৌঁছানোর পরে,পুলিশ আধিকারিকরা বিমানে আরোহণ করেন এবং কোনও হতাহত ছাড়াই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেন।
মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৃশ্যত আতঙ্কে কাঁপছিলেন যাত্রীরা। তাঁদের যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য ফ্লাইটে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
বন্দুকধারী কীভাবে বিমানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও স্পষ্ট নয়। এই রুটে এটিআর ৭২ ফ্লাইট পরিচালনাকারী সিএম এয়ারলাইন্স বা ট্যাগএয়ারলাইনস কেউই নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক স্থানীয় মন্তব্য, 'ওই বিমানবন্দরে নিশ্চয়ই খুব অকার্যকর যাত্রী স্ক্রিনিং চলছে, ফ্লাইট চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটলে খুবই বিপজ্জনক। ' আরেকজন প্রশ্ন তুলেছেন, 'তিনি কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিমানে উঠলেন?
দেখুন সেই ভিডিও:
অপর একটি ঘটনায় উনালাকলেট থেকে নোম যাওয়ার পথে একটি বিমান নিখোঁজ হওয়ার পর আলাস্কায় তল্লাশি অভিযান চলছে। নয়জন যাত্রী ও একজন পাইলট বহনকারী বেরিং এয়ারের বিমানটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নির্ধারিত সময়ে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়। নিখোঁজ বিমানটি শুক্রবার সমুদ্রের বরফের মধ্যে পাওয়া গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানের সব যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
মার্কিন কোস্টগার্ডের মুখপাত্র মাইক সালের্নো বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বিমানটির সর্বশেষ জ্ঞাত স্থানে তল্লাশি চালানোর পর বিমানটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান। তারা তদন্তের জন্য দু'জন উদ্ধারকারী সাঁতারুকে নামিয়েছিল।