
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে সন্তান হয়েছিল এক বিবাহিতা মহিলার। কিন্তু সেই সন্তানের আইনত বাবা কে হবেন? এটি নিয়েই দ্বন্দ্ব। তবে এবার সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে, যদি বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে থাকে ও দম্পতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকে তবে স্বামী ওই শিশুর আইনগত বাবা হতে পারবেন, যদিও তিনি বায়োলজিকাল বাবা নন।
এই রায়ে বিচারপতি সুর্যকান্ত জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের ১১২ ধারা অনুসারে এটা একটা ধারনা করে নেওয়া হয় যে বিয়ের পরিণতিতে স্ত্রীর যে সন্তান হয় তার বাবা হন ওই স্বামী।
সেই সঙ্গেই বেশ জোরের সঙ্গে যেটা বলা হচ্ছে সেটা হল, কোনও স্বামী কোনও সন্তানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন যখন স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে কোনও যোগাযোগই থাকে না।
এই মামলার ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বীকার করে নিচ্ছেন যে এই বাচ্চাটি তার স্বামীর সঙ্গে নয়, অন্য় কারোর সঙ্গে সহবাসের জেরে হয়েছে। পরে তিনি ডিভোর্স নেন ও এরপর তিনি কোচিন পুরসভায় আবেদন করেন যে তিনি তাঁর বাচ্চার পদবি বায়োলজিকার বাবার পদবি অনুসারে রাখতে চান। কিন্তু পুরসভা সেটা মানতে চায়নি। তারা জানিয়ে দেয় কোর্ট থেকে নির্দেশ এলেই এটা করা সম্ভব।
এরপর মহিলা আদালতে যান। তাঁর দাবি ওই পুরুষের সঙ্গে সহবাসের জেরে তাঁর সন্তান হয়েছে। কিন্তু সেই ব্যক্তি আবার এই শারীরিক সম্পর্কের কথা মানতে চাইছেন না। এরপর কেরল কোর্ট ডিএনএ টেস্টের জন্য় নির্দেশ দিয়েছিল।
এরপর ওই ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে যান। সিনিয়র অ্য়াডভোকেট রমি চাকো জানিয়ে দেন, কাউকে ডিএনএ টেস্টের জন্য জোর করা যায় না। এটা এভিডেন্স অ্যাক্টের বিরুদ্ধে যেতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জোর করে ডিএনএ টেস্ট করার অর্থ হল কারোর ব্যক্তিগত জীবনে প্রবেশ করা। এটা কারোর সম্মানহানি করতে পারে। তাঁর সম্মান ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার রয়েছে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট ওই ব্যক্তির আবেদনকে মেনে নিয়েছে ও ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ খারিজ করেছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports