টিকে থাকার লড়াই। মাত্র ৭ বছর বয়স। বাবা দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। আর বিশেষ কাজ করতে পারেন না। এরপর সংসারের জোয়াল টানতে জোমাটোর ডেলিভারি এজেন্ট হয়ে গিয়েছে সাত বছরের এক শিশু। বাসিন্দাদের দরজায় দরজায় খাবার পৌঁছে দেয় ওই একরত্তি। রাত ১১টা পর্যন্ত চলে ওই লড়াই।রাহুল মিত্তাল নামে ব্যক্তি ওই নাবালকের লড়াইয়ের কথা টুইটারে তুলে ধরেছেন। ওই কিশোর দিনের বেলা স্কুলে যায়। আর রাতে ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করে। ওই টুইটে লেখা হয়েছে, বাবা দুর্ঘটনায় জখম। বাবার কাজ করছে ছোট্ট ছেলে। তার বাবার যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য সহায়তা করুন। টুইটের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এক হাতে চকোলেট আর অন্য হাতে মোবাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই কিশোর। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাইকেলে চেপে অর্ডার পৌঁছে দেয় ওই কিশোর। ক্লান্ত, অবসন্ন শরীর। কিন্তু কর্তব্যে অবিচল। সংসারের সকলের মুখে একটু হাসি ফোটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওই কিশোর। থামার সময় নেই। শুধুই ছুটে চলা।নেটনাগরিকরা তার বাবার সুস্থতা কামনা করেছেন। এক নেটনাগরিক লিখেছেন, আমি প্রার্থনা করছি তার বাবা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। সে যেন আবার পড়াশোনায় মন দিতে পারে। অপরজন লিখেছেন, আপনাকেও ধন্য়বাদ, আপনি ওই কিশোরকে চকোলেট উপহার দিয়েছেন। অপর একজন লিখেছেন, এটা অনুপ্রেরণার নয়, এটা দুঃখের কাহিনি। অপর একজন লিখেছেন, আবেগকে দূরে সরিয়ে রেখে বলছি এটা বেআইনী।