শুক্রবার প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবচেয়ে অদ্ভুত অংশ ছিল বিশাল ফলের থালায় পরিবেশিত হওয়া অর্ধনগ্ন নীল রঙের এক ব্যক্তি। বৃষ্টিভেজা অনুষ্ঠানে দেখা গেল ফুল ও পাতায় বিক্ষিপ্তভাবে পোশাক পরা নীল মানুষটি সেন নদীতে ভাসতে ভাসতে গান গাইছিলেন।
কে এই অর্ধনগ্ন নীল মানব?
তিনি হলেন ফরাসি গায়ক ও অভিনেতা ফিলিপ ক্যাটেরিন। ৫৫ বছর বয়সী ক্যাটেরিন ২০০০ সালে ফ্রান্সে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন 'Louxor, j’adore' গানের সঙ্গে নাচের মাধ্যমে।
প্যারিস অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর অদ্ভুত পারফরম্যান্স দেখা গেল। তিনি একটি বিশাল ফলের থালায় শুয়ে আছেন, নীল রঙে গোটা শরীর রাঙানো, লজ্জা ঢাকতে শরীরের কয়েকটি অংশে সামান্য পাতার সাজ। এর ফলে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তাঁকে ‘স্মার্ফ’ বা ‘অবতার’ ছবিগুলির চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু আসলে এই সাজের কারণ কী?
কেন এই সাজ?
ক্যাটেরিন ‘মানুষের মধ্যে হিংসতার অযৌক্তিকতা’ সম্পর্কিত একটি গান গেয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। মিডিয়া গাইডের মতে, তিনি গায়ে রং করে এখানে মদ এবং উৎসবের গ্রীক দেবতা ডায়োনিসাস সাজার চেষ্টা করেছেন।
ডায়োনিসাস গ্রিক পুরাণের অন্যতম প্রধান দেবতা। যিনি ওয়াইন, উর্বরতা, থিয়েটার এবং আনন্দের দেবতা। তাঁকে প্রায়শই এক গ্লাস ওয়াইন এবং অনুগামীদের উন্মত্ততা সহ একজন যুবক ব্যক্তি হিসাবে চিত্রিত করা হয়।
তবে ডায়োনিসাসকে ধ্রুপদী শিল্পে খুব কমই নীল রঙের দেখানো হয়েছে। তাই ফিলিপ ক্যাটেরিনের গায়ে নীল রঙের বিষয়টি একটি রহস্য হিসাবে রয়ে গিয়েছে।
যদিও ফরাসিরা এই পারফরম্যান্সে খুশি। ক্যাটেরিনের উদ্ভট চেহারা যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসবে, সে সম্পর্কেও সচেতন ছিলেন তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি ভাইরাল পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আমি ফ্রান্সের বাইরে কোটি কোটি দর্শকের কথা ভাবছি যাঁরা ফিলিপ ক্যাটেরিনকে নীল রঙে মাখা অবস্থায় আবিষ্কার করেছেন।’
আর এক জন লিখেছেন, ‘আমরা কীভাবে ফিলিপ ক্যাটেরিনের বিষয়টি বাকি বিশ্বের কাছে ব্যাখ্যা করব?’
(অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস থেকে ইনপুট সহ)