শপিংমল হোক অথবা ফ্ল্যাট, এক্সেলেটর এবং লিফট ব্যবহার করে এখন মানুষ এতটাই অভ্যস্ত যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠে নামা করতে চান না একেবারে। খুব সমস্যায় না পড়লে সিঁড়ি ব্যবহারই করা হয় না। কিন্তু আপনি কী জানেন, রোজ অন্ততপক্ষে ৫ বার সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করা আবশ্যক?
সমাজ যত এগোচ্ছে, ততোই সুখী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। হাতের কাছে এখন প্রায় সব কিছুই চলে আসে মুহূর্তের মধ্যে। রেল স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট, সর্বত্র এক্সেলেটর এবং লিফটের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খুব প্রয়োজন না হলে এখন আর সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করতে চান না কেউ। আর এখানেই হয়ে যায় বিপত্তি।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতি দিনের জীবনে নিজেকে ফিট রাখার জন্য ভুলে যেতে হবে লিফট বা এক্সেলেটরকে। নিদেনপক্ষে পাঁচ বার ওঠানামা করতে হবে সিঁড়ি দিয়ে। সিঁড়ি দিয়ে যদি আপনি প্রত্যেকদিন উঠানামা করেন তাহলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটাই। থাকবে না উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবিটিসের ভয়।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা - কে এককথায় বলা হয় কার্ডিও ভাসকুলার এক্সারসাইজ। নিয়মিত সিঁড়ি ওঠা নামা করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে, যা হজমের সমস্যা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
প্রতিদিন অন্তত আট তলা পর্যন্ত যদি ওঠানামা করতে পারেন সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা কমানো যায় অনেকটাই। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যায় ৩৩ শতাংশ। তবে আট তলা উঠানামা করার সুযোগ না থাকলে দুতলা চারবার অথবা চারতলা দু বার করে ওঠা নামা করতে পারেন।
প্রত্যেকদিন সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলে হাতের এবং পায়ের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি এমন একটি ব্যায়াম, যা আপনার জয়েন্টের ব্যাথা থেকে মুক্তি দেবে আপনাকে। এই ব্যায়ামটি যদি আপনি রোজ করেন তাহলে আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং হাড় ভাঙ্গার আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটা।
জানলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন, প্রত্যেকদিন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বেড়ে যায় আত্মবিশ্বাস। তাই সার্বিকভাবে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আজ থেকেই লিফট বা এক্সেলেটর নয়, বেছে নিতে হবে সিঁড়িকে।