মস্তিষ্ক আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। তাই এর যত্ন নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বিভিন্ন কারণের ওপর মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে। এমনই একটি কারণ হল জীবনযাপন। বর্তমানের অস্বাস্থ্যকর অথবা চাপযুক্ত জীবনযাপন, বদঅভ্যাস মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করছে। এমন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পাল্টে ফেললেই মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটানো যাবে। কিছু কিছু অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের গতি কমিয়ে আনতে পারে। অতএব শীঘ্র এগুলিকে দূর করে মস্তিষ্ককে সুস্থ ও উন্নত থাকতে সাহায্য করুন। কোন কোন অভ্যাস পরিবর্তন করবেন জেনে নিন--
১. অত্যধিক নুন খাওয়া
অত্যধিক পরিমাণ নুন খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এই উচ্চ রক্তচাপ আবার নানান হৃদরোগ, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মনে রাখবেন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি যত বাড়বে, মস্তিষ্কের ততটাই ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাবে।
২. অপর্যাপ্ত ঘুম
মানুষের কতটা ঘুমের প্রয়োজন সে বিষয় বিজ্ঞানও এখনও নিশ্চিত নয়। সাধারণত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। অপর্যাপ্ত ঘুমের প্রভাবে আলস্য, ক্লান্তি দেখা দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম আপনার স্মৃতিশক্তিকে নষ্ট করতে পারে। মস্তিষ্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করে ঘুমের অভাব। ভালো ঘুমের ফলে শরীর থেকে টক্সিক নির্গত হয়। নিদ্রাভাবে শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াও বাধিত হয়। এ কারণে মস্তিষ্ক থেকে টক্সিক পদার্থ নিষ্কাশিত হতে পারে না। এই টক্সিকগুলি মস্তিষ্কে জমে আপনার ক্ষতি করতে পারে।
৩. শ্রবণ সমস্যা
আমাদের কান এখন ক্রমশ হইহুল্লোড়, চেঁচামিচি, লাউড মিউজিকের শব্দে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এগুলি আদতে আমাদের কানের ওপর কুপ্রভাব ফেলছে। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যয়ন থেকে জানা গিয়েছে যে, শুনতে সমস্যা রয়েছে এমন জাতকদের জ্ঞানাভাবের ঝুঁকি ৩০-৪০ শতাংশ বেশি। তাই নিজের কানের যত্ন নেওয়ার জরুরি।
৪. মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া
পুষ্টিকর ও সুষম আহার আপনার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। ২০১২ সালে জার্নাল নিউরোলজিতে প্রকাশিত এক অধ্যয়ন অনুযায়ী ৫০ বছর বয়সী ৬০০০ মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ১০ বছর পর সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পুনরায় যাচাই করে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, কম ওজনের ব্যক্তিদের তুলনায় স্থূল ব্যক্তিদের কাজে ২২ শতাংশ অধিক পতন ঘটেছে।
৫. একাকীত্ব
একা থাকা একাকীত্বের আবেগে ইন্ধন জোগায়। এর ফলে মস্তিষ্কে অবসাদ ও ফোলাভাব দেখা দেয়। ১০০ জনের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা হয়েছে যে, যে ব্যক্তিদের সামাজিক সম্পর্ক কম, তাঁদের গুরুতর জ্ঞান ভিত্তিক পতন ঘটেছে।