যাত্রা শুরু হয়েছিল যেখান থেকে, সেখানেই হল শেষ। মাঝে শুধু ৯ ঘণ্টার সময়সীমা, ৭৭৭৯ কিমি দূরত্ব। এমনটাই কাণ্ড ঘটিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। টানা ৯ ঘণ্টার যাত্রার পর যেখান থেকে যাত্রা করেছিল সেই জায়গাতেই ফিরে এসেছে ফ্লাইটটি। নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, বোয়িং-এর ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট লন্ডন থেকে টেক্সাস যাচ্ছিল। কিন্তু, কানাডার আকাশসীমায় পৌঁছোনোর সময় বিমানটি কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এর পর ফ্লাইটটিকে আবার লন্ডনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আসল ঘটনাটি কী ঘটেছিল
ফ্লাইটটিতে ৩০০ জন যাত্রী ছিলেন, তাঁদের সবাইকে নিরাপদেই ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ১০ জুন, রাত ৯টা ২৭ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে এই ফ্লাইটটি ছেড়ে গিয়েছিল। এরপর ৭৭৭৯ কিমি ভ্রমণ করে সাড়ে ৯ ঘণ্টা আকাশে থাকার পর সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে ফ্লাইটটি আবার লন্ডনে ফিরে এসেছিল। সাধারণত, লন্ডন থেকে টেক্সাস যেতে ফ্লাইটটি ১০ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় নেয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, ফ্লাইটটিতে সামান্য প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে, এর মেরামতের সুবিধা শুধুমাত্র লন্ডনে কোম্পানিতেই পাওয়া যায়, যার কারণে এটি ব্রিটেনে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে গন্তব্যে না পৌঁছে ফের লন্ডনেই ফ্লাইট ফিরে আসায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। লন্ডনে ফিরে, ক্রু তাই আতঙ্কিত যাত্রীদের বলেছিলেন যে নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে বিমানটিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে, প্রত্যেক যাত্রীকে টেক্সাসগামী অন্য একটি ফ্লাইটে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
এই প্রথম নয়, এর আগেও গোলযোগের মুখে পড়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। ১০ জুনের আগে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হল্যান্ডে জরুরি অবতরণ করেছিল। প্রকৃতপক্ষে, টেকঅফের প্রায় ৯০ মিনিটের পরে, ফ্লাইটের ককপিটটি হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে অসলো যাচ্ছিল। ধোঁয়া ভরে উঠতেই ক্যাপ্টেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে জরুরি অবতরণের জন্য বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এর পর বিমানটি আমস্টারডামে অবতরণ করেছিল। এরপর ১৯০ জন যাত্রী বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক দমকল ইঞ্জিন এবং জরুরি গাড়ি সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও, যাত্রীদের ক্ষতি হয়নি। আতঙ্কিত যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে নিয়ে এসে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছিল।