প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালিত হয় এই পবিত্র দিন। এই উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা পরশুরামের বিখ্যাত মন্দিরগুলোতে ভক্তদের ঢল নামে।সদ্য গিয়েছে পরশুরাম জয়ন্তী।দেখে নিন ভারতের পাঁচটি শ্রেষ্ঠ পরশুরাম মন্দির।
১. পরশুরাম মন্দির, ত্রিবন্ধুরা, হিমাচল প্রদেশ
হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার ত্রিবন্ধুরা শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটি পরশুরামের একটি প্রাচীন তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। এই মন্দিরটি হিমাচল প্রদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মস্থল। পাহাড় ও নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত এই স্থানটি ভক্তদের জন্য এক নির্জন এবং শান্ত পরিবেশ প্রদান করে।
২. পরশুরাম মন্দির, মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের চিপলুন শহরের কাছে অবস্থিত এই মন্দিরটি পশ্চিম ভারতের অন্যতম পরশুরাম তীর্থ। এটি সাহ্যাদ্রি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং আরব সাগরের কাছাকাছি হওয়ায় এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অপূর্ব।
৩. পরশুরামেশ্বর মন্দির, উড়িষ্যা
ভুবনেশ্বর শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটি একদিকে যেমন ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে, তেমনি এটি প্রাচীন স্থাপত্যের এক দৃষ্টান্ত। মন্দিরটি সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত এবং পরশুরাম ছাড়াও এখানে শিব ও দেবী দুর্গার পূজাও হয়।
৪. পরশুরাম কুন্ড, অরুণাচল প্রদেশ
অরুণাচলের লোহিত জেলায় অবস্থিত এই স্থানটি ভগবান পরশুরামের সঙ্গে যুক্ত একটি তীর্থ। জনশ্রুতি অনুসারে, এখানেই পরশুরাম তাঁর পিতৃহত্যার পাপ মুক্তির জন্য দান করেন এবং তাঁর কুঠার ফেলে দেন। এখানে প্রতি বছর মাঘ মাসে মেলা বসে।
৫. পরশুরাম মন্দির, কেরালা
কেরালার ত্রিসূরে অবস্থিত এই মন্দিরটি দক্ষিণ ভারতের অন্যতম বিখ্যাত পরশুরাম তীর্থ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান পরশুরাম কেরালার ভূখণ্ড সৃষ্টি করেন। এই মন্দিরটি তাঁর স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করে রেখেছে।
৬. টাঙ্গিনাথ ধাম, ঝাড়খণ্ড
ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায় অবস্থিত টাঙ্গিনাথ ধাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, পরশুরাম এখানে তাঁর খাঁড়া (টাঙ্গি) রেখে তপস্যায় লিপ্ত হয়েছিলেন, এবং সেই থেকেই স্থানটির নাম হয় "টাঙ্গিনাথ"। প্রতিবছর অসংখ্য ভক্ত এখানে আসেন পুণ্যলাভের আশায়। আজকের শুভ দিনটিতে এখানে দর্শনে যেতে পারেন।