সামনেই দোল উৎসব। দোল মানে শুধুই রঙ খেলা। সঙ্গে থাকে অনেক খাওয়া দাওয়াও। আর এই খাবারের মধ্যে অন্যতম হল মিষ্টি। উৎসবের মরসুম মানেই নানা মিষ্টির সমাহার। মিষ্টি উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেয়। সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। তাছাড়াও দোলের দিন অনেকের বাড়িতেই পুজো হয়, অনেকে আবার বাড়িতে নানা উদযাপনও করেন। চরাচরিত মঠ, ফুট কড়াই তো থাকেই। তাছাড়াও সন্দেশ, কাজু বরফি, গোলাপ জাম, বরফির মতো নানা রকমের মিষ্টি থাকে। অনেকে আবার এই সব মিষ্টি বাড়িতে, নিজে হাতে বানাতে পছন্দ করেন। আর এই সব মিষ্টি তৈরির মূল উপকরণ ‘মেওয়া’। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই ‘মেওয়া’তেও রয়েছে ভেজাল! কীভাবে বুঝবেন 'মেওয়া'তে ভেজাল আছে কিনা? জেনে নিন।
আরও পড়ুন: বাতাসা লুট থেকে লুচির ভোগ! ৪০০ বছর ধরে বর্ণাঢ্য দোল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারে
মেওয়াতে যদি ভেজাল থাকে তাহলে তা স্বাদে বেশ অনেকটাই প্রভাব ফেলবে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যের উপরও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। এই হোলিতে আপনি যদি ‘মেওয়া’ কেনেন, তবে কেনার আগে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন। কিছু বিষয় ভালো করে দেখে নিলেনই 'মেওয়া'তে ভেজাল আছে কিনা তা ধরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গাছে ঢিল বাঁধলে ইচ্ছে পূরণ করেন সতী মা, দোলে ভিড় নাকি ছাপিয়ে যায় গঙ্গাসাগরকেও!
মেওয়া কেনার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১) খাঁটি মেওয়া চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল মেওয়া নরম কিনা। দোকানে মেওয়া কিনলে হাত দিয়ে মেওয়ার টেক্সচার দেখে নিন। যদি নরম না হয় তবে বুঝবেন তাতে ভেজাল আছে।
২) মেওয়া আসল হলে তা মুখে লেগে থাকবে না। কিন্তু যদি তা মুখে লেগে থাকে তাহলে জানবেন এটা খাঁটি নয়।
আরও পড়ুন: ছোটদের বাড়িতে একা রেখে গেলে এই বিষয়গুলি মনে রাখুন, নিরাপত্তার জন্য দরকারি
৩) মেওয়া হাতে নিয়ে ছোটো ছোটো বলের মতো করে গড়ে দেখে নিতে পারেন। যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে বুঝতে হবে মেওয়াতে ভেজাল রয়েছে।
৪) বুড়ো আঙুলের উপরে মেওয়া কিছুটা ঘষে গন্ধ নিয়ে দেখতে পারেন। যদি খাঁটি হয় তবে ঘিয়ের গন্ধ পাবেন।
৫) মেওয়া কিনতে গেলে অবশ্যই চেখে দেখে নেবেন। যদি এর স্বাদ কাঁচা দুধের মতো হয় তাহলে বুঝতে হবে মেওয়া খাঁটি, তাতে কোনও ভেজাল নেই।