ছোটবেলায় ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিনেমাটি নিশ্চয়ই দেখেছিলেন। ওই সিনেমার একেবারে শেষ পর্বে দেখানো হয়েছিল, একটি ব্যক্তিকে গিলে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তিকে একেবারে গোটা বের করে দেয় অ্যানাকোন্ডা। যদিও ওটি সিনেমা ছিল, তবে এবার ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটলো ইন্দোনেশিয়ায়।
তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামের বাসিন্দা ফরিদা। ৪৫ বছর বয়সী ফরিদা গত বৃহস্পতিবার বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। তারপর থেকে আর তিনি ফিরে আসেননি। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। অবশেষে বিশাল বড় পাইথনের পেটের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হলো মহিলার নিথর দেহ।
(আরও পড়ুন: ওজন কমানো হোক বা চুল থেকে ত্বকের সমস্যা, সব কিছুর মুশকিল আসান অ্যালোভেরা)
প্রায় ১৬ ফুটের বিশালাকার পাইথনকে দেখতে পেয়েছিলেন ফরিদার স্বামী এবং গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে গ্রাম প্রধান জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফরিদার খোঁজ চলছিল। শুক্রবারে সারাদিন চলে চিরুনি তল্লাশি। কোথাও কোনও খবর না পেয়ে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরিদার পরিবারের সকলে। পুলিশে নিখোঁজ ডায়রিও করা হয়।
গ্রাম প্রধান সুয়ার্দি আরও জানিয়েছেন, শনিবার সকালে একইভাবে খোঁজাখুঁজি করতে করতে গ্রামের কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে ফরিদার কিছু জিনিস পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখনই সন্দেহ হয় ফরিদার স্বামী এবং গ্রামবাসীদের। জঙ্গলের ভেতর শুরু হয় তল্লাশি। কিছুটা দূর যেতেই বিশালাকার পাইথনকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা।
পাইথনকে ভালো করে লক্ষ্য করতেই বোঝা যায়, সেদিন নড়াচড়ার অবস্থাই নেই। তাতেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। সচরাচর কোনও বিশাল আকার জন্তু বা জানোয়ার খাওয়ার পর এমনই অবস্থা হয় পাইথনের, তাই সন্দেহের তীর সেই দিকেই ঘুরে যায়। এরপরই গ্রামবাসীরা পাইথনের পেট কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
(আরও পড়ুন: কী খেয়ে এতটা ফিট বিরাট কোহলি! ডায়েট প্ল্যান জানলে রান্নাঘরে ছুটবেন)
পাইথনের পেট কাটতেই সবার আগে বেরিয়ে আসে ফরিদার মাথা। রীতিমতো হতবাক হয়ে যান গ্রামবাসীরা। এরপর পাইথনের পেট থেকে ফরিদার জামা কাপড় পরিহিত শরীরটা একেবারে অক্ষত অবস্থায় বের করে নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। ইন্দোনেশিয়ায় গত কয়েক বছরে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে, তবুও এই ঘটনায় রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন ওই গ্রামের সকলে।