মহা কুম্ভ মেলা ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে। মহাকুম্ভ মেলা একটি ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা প্রতি ১২ বছরে একবার প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হয়। খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এই মেলা। এই উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত ও পর্যটক কুম্ভ স্নান করতে এখানে আসছেন বলে খবর রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। এদিকে, আপনি যদি প্রয়াগরাজ আসছেন, তাহলে অবশ্যই কিছু জায়গা দেখতে যাবেন। এখানে আমরা প্রয়াগরাজের সেই জায়গাগুলি সম্পর্কে বলছি যেগুলি মেলার কাছাকাছি এবং আপনার ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে।
ত্রিবেণী সঙ্গম
প্রয়াগরাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান ত্রিবেণী সঙ্গমে তিনটি নদী গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী মিলিত হয়েছে। তবে এখন সরস্বতী নদীকে বিলুপ্ত বলে মনে করা হয়। এই স্থানটির ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে এবং এটি কুম্ভ মেলার প্রধান আকর্ষণও। নদীর সঙ্গম ঘনিষ্ঠভাবে দেখার জন্য এখানে নৌকা যাত্রাও পাওয়া যায়।
এলাহাবাদ দুর্গ
সম্রাট আকবর ১৫৮৩ সালে এই দুর্গটি নির্মাণ করেন। এই দুর্গে সরস্বতী কূপ, পাতালপুরী মন্দির এবং অশোক স্তম্ভ দেখুন। কুম্ভ মেলার সময় দুর্গটি জনসাধারণের জন্য অর্ধেক খোলা থাকে।
হনুমান মন্দির
ভগবান হনুমানের হেলান দেওয়া মূর্তির জন্য বিখ্যাত, এই মন্দিরটি আশীর্বাদ এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতির জন্য কুম্ভের সময় অবশ্যই পরিদর্শন করা উচিত। এখানকার বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলী দেখার মতো। আপনি যদি মহাকুম্ভে স্নান করতে যান, তবে অবশ্যই এই মন্দিরে যান।
যমুনা ও সরস্বতী ঘাট
এই ঘাটগুলি কুম্ভ মেলার অংশ। পবিত্র আচার অনুষ্ঠান এবং নির্মল নৌকা যাত্রার জন্য এই স্থানটি দেখুন। আপনি এখানে আরতিতে যোগ দিতে পারেন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার জন্য নৌকায় চড়ে যেতে পারেন।
অশোক স্তম্ভ
অশোক স্তম্ভ মৌর্য সম্রাট অশোক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি ঐতিহাসিক স্তম্ভ। এই স্তম্ভের উপর অশোকের ধর্মীয় নির্দেশাবলী লেখা আছে এবং এটি ভারতীয় ইতিহাসের একটি বিশেষ অংশ। আপনি বাচ্চাদের সাথে এই জায়গাটি দেখতে যান।