পুজোর কটা দিন দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে নানা প্রসাদ, মিষ্টি, ভোগ ইত্যাদি নিবেদন করা হয়। তাঁর মধ্যে সিংহভাগটাই অনেকে বাড়িতে বানিয়ে নেন। যেমন নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ু, মোয়া, সন্দেশ। কিন্তু বাতাসাটা বেশির ভাগ মানুষই দশকর্মা ভাণ্ডার থেকে কিনে নেন। তবে কেবল দুর্গাপুজো বলে নয় যে কোনও পুজোতেই বাতাস নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়েই থাকে।
এই মিষ্টি বাতাসার অনেক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু উৎসবের সময় বাজারে পাওয়া বাতাসা খুব একটা ভালো করে তৈরি করা হয় না। এই পরিস্থতিতে উপায় কী? উপায় আছে। আপনি চাইলে সহজেই বাড়িতে থাকা সাধারণ কতকগুলি উপাদানের সাহায্যে বাতাসা তৈরি করতে পারেন। তারপর আর কি, নবরাত্রি বা দুর্গাপুজো প্রসাদ হিসেবে তা দেবীর উদ্দেশ্যে অর্পণ করতে পারেন।
জেনে নিন বাড়িতে বাতাসা তৈরির সহজ উপায়
বাতাসা তৈরির উপকরণ: ১ কাপ চিনি, ১ কাপ চিনি, ১/৪ চা চামচ এলাচ গুঁড়া (ঐচ্ছিক), গোলাপ জল বা কেওড়া জল (ঐচ্ছিক)।
আরও পড়ুন: ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর থিমে এবার জীবনানন্দ, ফুটে উঠছে ‘প্রেমিকা’ কলকাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে একটি কড়াই নিন এবং তাতে চিনি ও জল দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। ধীরে ধীরে রসটা গাঁঢ় হতে শুরু করবে। এবার ওই ঘন হতে শুরু করা রসে এলাচ গুঁড়া ও গোলাপ জল দিন। এটা অবশ্য যদি আপনি চান তবেই যোগ করবেন।
আরও পড়ুন: কাতারের মুন টাওয়ার এবার হুগলিতে! শহর থেকে দূরে হলেও তাক লাগাচ্ছে এই পুজো
এবার একটি প্লেটে নামিয়ে নিন। হাত দেওয়ার মতো অল্প ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। হালকা ঠান্ডা হয়ে এলে এবার আস্তে আস্তে আকৃতি দিতে থাকুন। আপনি এই রস থেকে প্লেটে গোল গোল আকার করে রাখুন। এই রস পুরো ঠান্ডা হয়ে গেলেই এর থেকে বাতাসা তৈরি হয়ে যাবে।
তবে এটা ছাড়াও চাইলে একটা বাটার পেপারের উপর টেবিল চামচের এক চামচ করে রস দিয়ে জমতে দিন। রস জমে ঠান্ডা হয়ে গেলে বাতাসা তৈরি হবে যাবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, এই ঘন রস দ্রুত ঠান্ডা হতে শুরু করে। একবার ঠান্ডা হলে গেলে কিন্তু এটাকে আকার দেওয়া যায় না। যদি এমন হয় তবে এতে আবার অল্প করে গরম জল যোগ করে আঁচে রেখে কিছুক্ষণ নাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর একই পদ্ধতিতে বানিয়ে নিতে হবে বাতাসা।