কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, আচমকাই কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক মাঝবয়সী প্রাণ। বিশিষ্ট অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের পর ৫৯ বছর বয়সে এবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন টিভি অভিনেতা ঋতুরাজ সিং। জানা গিয়েছে, হার্টের সমস্যার পাশাপাশি তাঁর অগ্ন্যাশয় সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল। তবে, ঋতুরাজের মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। এটি এমনই একটি গুরুতর সমস্যা, যা সহজে ধরা যায় না। তাই এই বিষয়ে সর্বদা সচেতন থাকতে নিজের শরীরে ঘটে চলা নানা পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দিন, লক্ষণের দিকে নজর রাখুন। তবে যদি এই সমস্যাটি এড়ানো যায়।
- ৫০-এর ঘরে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
১) হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি। এই ব্যথা বা অস্বস্তি ক্রমাগত বা বিরতিহীন হতে পারে। কিছু মানুষ হাঁটার সময় বা উপরে উঠার সময় অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
২) শ্বাসকষ্ট হওয়ার সমস্যাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। এ উপসর্গ বুকে ব্যথা ছাড়াই কিংবা বিশ্রামে বা শারীরিক কার্যকলাপের সময়ও দেখা দিতে পারে। হাঁটতে বা ঘুমানোর সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
৩) হৃদরোগে আক্রান্ত কিছু ব্যক্তি বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন বা বদহজমের মতো লক্ষণ অনুভব করতে পারে। এই লক্ষণগুলি যদিও মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
৪) অতিরিক্ত ঘামও হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে।
৫) খুব দ্রুত ক্লান্ত হওয়া বা দুর্বল বোধ করা হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৬) মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলাফল হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলি কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
৭) উদ্বিগ্ন বোধ করা, ভয় পাওয়া কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকের আগের উপসর্গ হতে পারে।
মনে রাখবেন, উপরিউক্ত লক্ষণগুলি কিন্ত কমবয়সীদের মধ্যেও লক্ষ্য করা যেতে পারে। তবে, এই হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে কিন্তু বাঁচারও উপায় রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে আগে থেকে সাবধান থাকলেই হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ।
আচমকা হার্ট অ্যাটাক প্রয়াত অঞ্জনা ভৌমিক! বয়স বাড়লে মহিলাদের হার্টের যত্নে কী কী করা উচিত
- হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচার উপায়
আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
১. ধূমপান ত্যাগ করুন বা দূরে থাকুন: ধূমপান হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং ধূমপান বন্ধ করলে তা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া: এমনই স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাম, যাতে কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে। উপরন্তু, ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবারও খেতে পারেন।