শুধু দুর্গাপুজো নয়, যে কোনও পুজো মানেই ভোগ মাস্ট। ভোগে খিচুড়ির সঙ্গে আলু ভাজা বা বেগুন ভাজা খেতে বেশ ভালো লাগে ঠিকই কিন্তু খিচুড়ি লাবড়া ছাড়া একেবারেই অসম্পূর্ণ। আপনার বাড়িতেও যদি দুর্গাপুজো বা অন্য কোনও পুজো হয়, তাহলে এখনি জেনে নিন নিরামিষ লাবড়া রেসিপি।
নিরামিষ লাবড়া তৈরি করার উপকরণ:
রেসিপিটি তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে আলু, পটল, মিষ্টি আলু, বেগুন, বরবটি, ঝিঙে, কুমড়ো, কোরানো নারকেল, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, গরম মসলা গুঁড়ো, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা, স্বাদমতো নুন এবং চিনি, পরিমাপ মতো সরষের তেল এবং ঘি।
ফোড়নের জন্য লাগবে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা এবং গোটা জিরে।
(আরও পড়ুন: মুসলিমদের ছোঁয়া পেলে তবেই শুরু হয় পুজো, শ্রীরামপুরের গুরু বাড়ি আসলে কার বাড়ি)
নিরামিষ লাবড়া তৈরি করার পদ্ধতি:
প্রথমে সমস্ত সবজি মাঝারি টুকরো করে একটি বড় থালার মধ্যে ভাগ ভাগ করে রেখে দিন। তারপর কড়াই নিয়ে তাতে পরিমাপ মতো সরিষার তেল গরম করুন। এবার তেলে একে একে দিয়ে দিন তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা এবং গোটা জিরে। এক মিনিট নাড়াচাড়া করে সমস্ত সবজি দিয়ে দিন কড়াইয়ের মধ্যে।
সবজিগুলি মিনিটখানেক ভালো করে ভাজতে থাকুন। সবজি যতক্ষণ ভাজা হচ্ছে ততক্ষণ অন্য একটি বাটিতে নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো এবং আদা বাটা নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। সবজি ভাজা হয়ে গেলেই ওপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে এই মিশ্রণটি।
(আরও পড়ুন: ৩৫০ বছরে পদার্পণ করল শ্রীরামপুর রাজবাড়ির পুজো, ইতিহাস যা চমকে দেবে আপনাকে)
সমস্ত সবজি মোটামুটি ভাজা হয়ে গেলে সামান্য জল এবং কয়েকটি চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে কড়াই। মনে রাখবেন, মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে আপনাকে। ১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে দেখে নেবেন সবজিগুলি সেদ্ধ হয়েছে কিনা। সবজি সেদ্ধ হয়ে গেলে ওপর থেকে ছড়িয়ে দেবেন নারকেল কোরা, গরম মসলা সামান্য চিনি এবং ঘি।
সবশেষে আরও মিনিটখানেক ভালো করে খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দেবেন যাতে উপকরণ গুলি একে অপরের সঙ্গে ভালো করে মিশে যায়। জল শুকিয়ে এলেই গ্যাস বন্ধ করে দেবেন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে গরম গরম লাবড়া। খিচুড়ির সঙ্গে এটি খেতে লাগে অমৃত।