আক্কেল দাঁত আক্কেল দেয় কিনা জানা নেই, কিন্তু ইনি যে ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! অনেকেই আক্কেল দাঁতের সমস্যায় জর্জরিত! কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো দাঁত তুলেও ফেলতে হয়। এছাড়া এই বিষয়ে আমাদের সবারই মনে একাধিক প্রশ্ন জড়িয়ে থাকে। দেখে নিন সেইসব প্রশ্ন এবং তার উত্তর, কখন কী করবেন আর কখন নয়!
আক্কেল দাঁত কী?
আক্কেল দাঁত হচ্ছে আমাদের দাঁতের পাটির একদম শেষ দাঁতটি, যেটা সব থেকে চওড়া, এবং সব থেকে শক্ত। এটা মূলত আমাদের কৈশোরের শেষ দিকে বা যৌবনের শুরুর দিকে গজায়। কারও কারও ক্ষেত্রে এটা অর্ধেক বেরিয়ে আর বেরোয় না, এবং মাড়িতে আটকে থেকে প্রচণ্ড ব্যথা দেয়। আর এর কারণে মাড়িতে ইনফেকশন হয়, দাঁতে পোকা লেগে যায় এবং একাধিক মুখের সমস্যা হয়। তাই আক্কেল দাঁত পুরো মা উঠলে, ব্যথা দিলে সেটা সবসময় তুলে ফেলা উচিত বলেই দাঁতের ডাক্তাররা মনে করেন।
কখন আক্কেল দাঁত তুলে ফেলা উচিত?
যদি আপনার আক্কেল দাঁত আপনার জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কিংবা ভবিষ্যতে এর থেকে সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন এটাকে তুলে ফেলা উচিত। তবে দাঁত তোলার আগে চিকিৎসকরা একাধিক বিষয় যাচাই করে নেন, এই যেমন এই দাঁতের কারণে কী অন্য দাঁতগুলোর সমস্যা হচ্ছে? মুখের ভিতর অন্যান্য সমস্যা তৈরি করছে? সার্জারি করলে কী বা কেমন জটিলতা তৈরি হতে পারে, ইত্যাদি। এগুলো বিবেচনা করার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে সার্জারির প্রয়োজন আছে কিনা।
আক্কেল দাঁত তুলে ফেললে কি কোনও জটিলতা তৈরি হতে পারে?
দাঁত তোলার পরই অনেকের মুখ বা মাড়ি ফুলে যায়, ব্যথা হয়। তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী নয়। যদি ব্যথাটা থেকেই যায় বা ফিরে আসে তাহলে সেক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেই সমস্যা দূর হবে।
আক্কেল দাঁত তুলে ফেলার পর ব্যথা হলে কী করবেন দেখে নিন।
১. ডাক্তারের দেওয়া ওষুধের সঙ্গে বরফের সেঁক দিন মাড়িতে
২. গরম পানীয়, ফলের রস খাবেন না দাঁত তোলার পর। এরয়ে চলবেন ধূমপানও। এতে জটিলতা বাড়ে।
৩. সহজেই চিবিয়ে খাওয়া যায় এমন খাবার খান, যেমন মাছ, আলু ইত্যাদি। হালকা গরম খাবার খান। খুব গরম খাবেন না একদমই।
৪. সার্জারির পর কদিন একদম বেশি শারীরিক কসরত করবেন না, এটা মাড়িতে ফের ব্যথা হতে পারে।
সর্বোপরি, সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা করান। ব্যথা হলে ফেলে রাখবেন না।